কোরবানির মাংস রান্নার কিছু টিপস

0

রান্নাঘর : পশুর মাংস সংরক্ষণের কিছু নিয়ম আছে। তা মেনে চললে মাংসের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়৷ নিম্নে তা উল্লেখ করা হল—

মাংসের সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি
কোরবানির ঈদে মাংসের সরবরাহ থাকে প্রচুর৷ তৈরি করা যায় বিভিন্ন স্বাদের ও বিভিন্ন ঢঙের মাংসের আইটেম৷ মাংস প্রাণিজ প্রোটিনের খুব ভালো উৎস৷ কাজেই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে কোরবানির ঈদের পর্যাপ্ত মাংস দিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যাবে নির্দ্বিধায় দুই মাস৷

১. হালকা লবণ ও হলুদ দিয়ে মাংসগুলোকে তাপ দিলে তা অনেক দিন সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা যায়৷
২. আবার ভিনেগার দিয়েও মাংস সংরক্ষণ করা যায়৷ কোনো টিন বা বোতলে ভিনেগারে মাংস সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে রাখলে মাংস ভালো থাকে অনেক দিন৷
৩. আর ভিনেগার যদি না পাওয়া যায়, তাহলে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে৷ মাংসের টুকরোগুলোকে লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ক্যানড করলে মাংস ভালো থাকে অনেক দিন৷
৪. ভিনেগার বা লেবুর রস ব্যবহার করলে মাংস সংরক্ষণের পাত্রটি ডিপ ফ্রিজে না রেখে রেফ্রিজারেটরে সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে হবে৷
৫. মাংস সংরক্ষণের সবচেয়ে আদি পদ্ধতি হল মাংস রোদে শুকিয়ে নেওয়া৷ হালকা লবণ দিয়ে মেখে নিয়ে রোদে ভালোভাবে শুকালে এই মাংস ভালো থাকে অনেক দিন৷ তবে শুকানোর পর অবশ্যই মাংসগুলো টিনে ভালো করে এঁটে রাখতে হবে, নয়তো পোকামাকড়ের আক্রমণে তার আবার পুষ্টি অপচয় হবে৷

চর্বি ছাড়া মাংস খান

সাধারণত মাংস কাটা হয় কিউব আকারে৷ এভাবে কাটলে মাংসের মধ্যে চর্বির স্তরগুলো থেকেই যায়৷ এ জন্য মাংসের টুকরাগুলো স্তরে স্তরে কেটে চর্বির অংশটুকু বাদ দিন৷ সিনা, রান যেকোনো অংশ থেকেই এভাবে চর্বি বাদ দিয়ে শুধু লাল মাংসটুকু রাখা যেতে পারে৷
যাদের কোলেস্টেরলে সমস্যা রয়েছে, তারা মাংস প্রথমে সিদ্ধ করে পানিটুকু ফেলে দিন৷ এরপর ইচ্ছামাফিক রান্না করুন৷ এতেও চলে যাবে অনেকখানি চর্বি৷
গ্রিল করা মাংসে চর্বি প্রায় থাকেই না বলা যায়৷ রোস্ট বা অন্য কোনোভাবে রান্না না করে তাই গ্রিল খাওয়া অনেক স্বাস্থ্যকর৷
সাদা সিরকা, লেবুর রস ও লবণ মাখিয়ে কাঁচা মাংস ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত৷ এভাবে রাখলে মাংসের প্রায় ৮০ শতাংশই চর্বিই চলে যায়৷ এরপর তা সংরক্ষণ করা যেতে পারে অথবা রান্না করতে পারেন আপনার পছন্দমতো৷

কোন অংশের মাংস দিয়ে কী রান্না করবেন?

সব মাংস দিয়ে সব ধরনের আইটেম তৈরি করা যায় না৷ তাই রান্নার আগে তাকে ওই মাংস সম্পর্কে সচেতন হয়ে রান্না শুরু করতে হবে৷ এবার জেনে নিন কোন অংশের মাংস দিয়ে কি কি তৈরি করা যাবে৷
রানের মাংস : কোরমা, টিকিয়া, বিফ বার্গার, কোপতা, বিরিয়ানি ইত্যাদি তৈরি করা যাবে৷
পেটের দুই পাশের মাংস :শিক কাবাব, হাঁড়ি কাবাব, কিমা, কোপ্তা, শামি কাবাব তৈরি করা যায়৷
হাঁটু থেকে পায়ের অংশ পর্যন্ত : স্যুপ ও কারির জন্য ভালো৷
সিনার মাংস : তেহারি, কারি, রোস্ট ও কোমরের মাংস দিয়ে রোস্ট, কোরমা, বিরিয়ানি তৈরি করা যাবে৷
মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হতে পেঁপে দিতে পারেন অথবা ব্যবহার করতে পারেন সামান্য চিনি৷
মাংসের স্বাদ এটি কষানোর ওপর নির্ভর করে৷ কষানোর পর পানি দিয়ে ফুটিয়ে ঢেকে আঁচ মধ্যম করে দিন৷ আস্তে আস্তে মাংস সিদ্ধ হয়ে আসবে৷
রান্নার সময় ঢেকে রান্না করবেন এতে খাবারের মান ভালো থাকে৷ এ ছাড়া মাংসও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায়৷

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.