আলোকচিত্রে আবারো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছেন সুব্রত

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : আলোকচিত্রে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছেন আলোকচিত্রী সব্রত দে। লন্ডন এর আইয়ান পেরী স্কালারশীপ এর জন্য তার ডকুমেন্টারি প্রকল্প ‘দ্যা মেরিনার’ শীর্ষ ১৫ তে মনোনীত হওয়ায় তাকে পোর্টফোলিও রিভিউ এর জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর ২০১৯ অনুষ্ঠিতব্য পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে লন্ডনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

একই প্রকল্প সমসাময়িক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের আই পি এ (ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি এওয়ার্ড) পুরস্কার জিতে নেয়। তাছাড়াও ওই একই দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পটি ২০১৮ তে আন্তর্জাতিক ভোহ্ ফটো ফেস্টিভ্যাল এ পুরস্কৃত করা হয়। এই ডকুমেন্টারি ছাড়াও সুব্রতের দুটি পোর্ট ফলিও “ হোলি “ এবং “ডেজেল অব অলিম্পাস “ দুবাই এর হিপার চুড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়। এর আগে ২০১৮ তে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এর পাশাপাশি দেশে ডেইলি স্টার সেলিব্রেটিং লাইফ এবং বিপিএস এ সুব্রত দে এর ছবি পুরস্কারের গৌরব অর্জন করেন।

সম্প্রতি পাবলিক হেলথ বিজেতা হিসেবে তার আরো একটি ছবি পুরষ্কৃত হয়। তিনি ২০১৭ তে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ফটোশেয়ার আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন ৩৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ১ নম্বর সাইটের সন্তান সব্রত দে ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকা দেখে বড় হয়। মায়ের বেডশিড, কাঁথায়, কাপড় নকশা আঁকা দেখে ছবির প্রতি তার অনুভূতি জাগে। তার বড় মামা প্রথিতযশা চারুশিল্পী সঞ্জীব দও প্রাক্তন চারুকলা ইনিস্টিটিউট এর প্রভাষক এবং ছোট বোন বর্তমানে বিশ্বরঙ এর ফ্যাশন ডিজাইনার এবং সহধর্মিণী চবি থেকে চিত্রকলায় স্নাতকোত্তর। সব মিলিয়ে পারিবারিক রঙ বৈচিত্রের সম্মিলন সব সময় ছবির জগতেই টেনে আনত সুব্রতকে।

পেশায় একজন নাবিক হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে নিজের ভেতরের চাওয়াকে মেলে ধরতে পারবো তার পথই খুঁজত সব সময়। আর এর থেকেই হাতে নেওয়া ক্যামেরা। জাহাজের বন্দী গন্ডিকেই বেছে নিয়ে পথ চলা শুরু ২০১৩ তে। ফটোআর্ট ইনিস্টিটিটে ফটোগ্রাফির হাতে খড়ি এবং পরবর্তীতে ভোহ্ ফটোগ্রাফি ইনিস্টিটিট থেকে ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফি শিক্ষা।

পছন্দের ফটোগ্রাফারদের মধ্যে দেশে শাহনেওয়াজ খান, শোয়ের ফারুকী, শহিদুল আলম, সাইফুল হক অমি, হাসান সাইফুদ্দিন চন্দন, আবির আব্দুল্লাহসহ আরো অনেকেই। দেশের বাইরের যাদের ছবি তাকে বেশি টানতো তাদের মধ্যে সুবাস্তিও সালগাদো, রঘুরায় অন্যতম।

ছবিতে গল্পবলাটাই তার কাছে সবসময় বেশি প্রাধান্য পায়। আর এ কারনেই জাহাজী জীবনের গল্পই এখনো পর্যন্ত তার পছন্দের ডকুমেন্টারি প্রকল্প।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.