মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ

0

সিটিনিউজবিডি : মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ ব্যাংক লি. এ টাকা আমানত রেখে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহক মুহম্মদ ইকবাল ইউসূফ। প্রাণপণ প্রচেষ্টায়ও টাকা উদ্ধার করতে পারছেন না তিনি। এ ব্যাংকের জুবিলী রোড চট্টগ্রাম শাখায় ৩টি এফডিআর ও ১টি সঞ্চয়ী হিসাবে তার জমা টাকার পরিমান সাত লক্ষ আটত্রিশ হাজার দুইশত তিরাশি টাকা।

বিগত ৬ এপ্রিল ২০০৭ এ ব্যাংক প্রদত্ত হিসাবে এ তথ্য জানা যায়। বর্তমানে এই আমানতদার তীব্র ডায়াবেটিস ঝুঁকিপুর্ণ হৃদরোগ স্নায়ুশৈথল্য দৃষ্টিক্ষীনতা চর্মরোগ বাতব্যাধি প্রভৃতিতে আক্রান্ত হয়ে র্জরাগ্রস্থ জীবন যাপন করছেন। অর্থাভাবে তিনি যথোপযুক্ত চিকিৎসা নিতে এবং ঔষধপথ্য সেবনে অক্ষম। তদুপরি ঋণগ্রস্থ হয়ে সাংসারিক অনটনে নিপতিত। ব্যাংকে জমা টাকা ফেরত পেতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়ে প্রতিকার কামনা করেছেন।

সর্বশেষ গত ১২আগস্ট তিনি আনুসাঙ্গিক দলিল সমেত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দপ্তরে যুগ্ম নিবন্ধক বরাবরে টাকা ফেরত পেতে আবেদন পেশ এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুলিপি প্রদান করেন। সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এখবর গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়। সহসা টাকা ফেরত পাবার আশাব্যক্ত করে মুহম্মদ ইকবাল ইউসূফ বলেন, সমবায়ের আদর্শ উদ্দেশ্যে প্রাণিত হয়ে এ ব্যাংকে আমানতদার হই। জীবন সংকটের এই সঙ্গীন মুহূর্তে টাকাগুলো খুবই দরকার। নইলে ঋণ অনটন আর বিনা চিকিৎসায় মরতে হবে। মানবিক বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ আমার প্রতি সদয় হবে।

এদিকে তথ্য অনুসদ্ধান করে জানা গেছে যে,ব্যাংকটি চট্টগ্রাাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির মালিকানায় পরিচালিত। একজন ব্যাংকের আমানতদারের জীবন সংকটের এই মুহূর্তে দ্রুত সহায়তার সেবা প্রদান করার জন্য বিশেষ আরজ ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.