বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়

0

জুয়েল মল্লিক : ঈদে দর্শনার্থীদের ভীড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় বড় বিনোদন কেন্দ্রগুলো। দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে ফাঁকা শহর যেন কোলাহলময় নগরীতে পরিণত হয়েছে। বছরের অন্য দিনগুলোতে কাজের চাপে ব্যস্ত থাকায় এই ঈদের সময়কে বেচে নিয়েছে তারা।

জিয়া শিশু পার্ক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পযন্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়মেশনিবার থেকে বুধবার পযন্ত টানা ৫ দিন এটি খোলা থাকবে। বছরের অন্যসময় দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকে।

শুক্রবার ঈদুল আজহার দিন বন্ধ ছিল এটি। জানা ছিল না অনেকেরই তাই এদিন দুপুর থেকে শত শত দর্শনার্থী শাহবাগের এই শিশুপার্কের গেইট থেকে ফিরে যান হতাশ হয়ে।17-10-13-sisu-park-33_14249

শরীফ নামে এক ব্যক্তি জানান, সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সকাল সকালই শনিবার চলে এসেছেন শিশু পার্কে। দুই সন্তানকে ট্রেনে চড়াতে দাঁড়িয়েছে লাইনে। তিনি বলেন, কালকে (শুক্রবার) বিকেলে সবাই এখানে এসেছিলাম। বন্ধ থাকায় মন খারাপ করে এরা (ছেলে মেয়ে)। তাই আজকে আবার আসলাম।

মফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, সারা বছর ঢাকায় কর্ম ব্যস্ত সময় কাটে। পরিবারকে সময় দেওয়ার ফুরসত হয় না। এছাড়া যানজটের কারণেও রাস্তায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বেরুতে ইচ্ছে করে না। ঈদে রাস্তা ঘাট ফাঁকা। তাই সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জিয়া শিশু পার্কটিতে সকালের পর থেকেই বিনোদন পিপাসুদের ভীড় বাড়ছে। বড়দের হাত ধরে শিশুদের উপস্থিতিই সেখানে বেশি।

এদিকে চট্রগ্রাম নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। সমুদ্র সৈকত, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক, ওয়াটার পার্ক কিংবা চিড়িয়াখানা কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না ঈদের পরের দিন পর্যন্ত। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সব মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে নগরীর সবকটি বিনোদন স্পট। আর দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রের তালিকায় রয়েছে_ ফয়’স লেক সি-ওয়ার্ল্ড (ওয়াটার পার্ক), পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, বাটারফ্লাই পার্ক, নেভাল অ্যাকাডেমি, চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক, সিআরবি মোড়, রেলওয়ে জাদুঘর ও জাতীয় জাদুঘর, বাটালি হিল, ডিসি হিল, ভাটিয়ারী পাহাড় পার্ক, বিপ্লব উদ্যান, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু, ওয়ার সিমেট্রি ও স্বাধীনতা পার্ক অন্যতম। শহরের বাইরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত, সীতাকু- চন্দ্রনাথ পাহাড়, সীতাকু- ইকোপার্ক, মিরসরাইয়ের মহামায়া ও বাঁশখালী ইকোপার্ক।ctg_Binodon_Photo_11

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকেই শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় নগরীর সবকটি বিনোদন কেন্দ্র। ধনী-গরিব সবাই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব একে-অন্যের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে জড়ো হয়েছিলেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের দিন থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। দর্শনার্থীদের মধ্যে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ও প্রেমিক যুগলের সংখ্যা ছিল একটু বেশি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.