সিটিনিউজবিডি : জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায় জমি বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ায় ছোট ভাইকে দঁড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার মনু মিয়ার বড় ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে ৬ জন নামীয় ও আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাদুল্যাপুর থানায় রবিবার রাতেই মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মনুর বড় ভাই রাখু মিয়া (৩৮), খেজের মিয়া (৪০) বড় বোন নাজমা বেগম (৩৮) ভগ্নিপতি শফিউজ্জামান (৪২), মজিদুল (৩৭) ও নওশা মিয়া (৩৫)।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবদুল হাকিম আজাদ রবিবার রাত পৌনে ১টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মনুর ভাই রাজু বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার আগেই নাজমা বেগমকে (৩৫) আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। আটক নাজমা বেগমকে সোমবার দুপুরের মধ্যে আদালতে পাঠানো হবে।
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামের মৃত মনতাজ প্রমাণিক ছেলে মনু মিয়া পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৩০ শতক জমি চার লাখ টাকায় তার আপন বোন নাজমা বেগমের কাছে বিক্রি করেন। শনিবার বিকেলে পাওনা টাকা চাওয়ায় ভাই রাখু মিয়া, বোন নাজমা বেগম তার স্বামী শফিউজ্জামান দঁড়ি দিয়ে মনুর হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এতে মনুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও চারটি দাঁত ভেঙ্গে যায়।
গ্রামের এনামুল হক জানান, মনু মিয়া সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়ির উঠানে পড়ে থাকলেও ভাই, বোন ও দুলাভাই তাকে চিকিৎসা করার উদ্যোগ নেননি। এমনকি স্থানীয়দের কোনো সহায়তা না করার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন রাতে তাকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রবিবার সকালে তাকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এসআইএম শাহিন জানান, মনু মিয়া রবিবার সকালে হাসপাতালে এসেছেন। মনুর মুখে দাঁতসহ শরীরের বিভন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সুস্থ হতে সময় লাগবে।