আ’লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে যুবক নিহত

0

সিটিনিউজবিডি : নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষ চলাকালে গুলিতে ইকবাল সমাদ্দার (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।

জেলার লোহাগড়ায় উপজেলার ঘাঘা গ্রামে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ইকবাল সমাদ্দার কোটাকোল গ্রামের রুপোই সমাজদারের ছেলে। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খান জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হেমায়েত হোসেন হিমু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এর জের ধরে সোমাবর সকালে ঘাঘা গ্রামের ব্রিজের পাশে ঘাঘা ও কোটাকোল গ্রামবাসীর সমর্থকরা ঢাল, সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ওই গ্রামে টহলরত পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫৬ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। গুলিবিদ্ধ ইকবালকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কোটাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতে ইকবাল নিহত হয়েছেন। তার শরীরে অসংখ্য গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫৬ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.