খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় ও সারাদেশের জেলা এবং মহানগরে আগামীকাল রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

এছাড়াও শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও বিজয় দিসব পালনে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিজয়দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সারা দেশেও একই কর্মসূচি পালন হবে। ১৬ ডিসেম্বর স্মৃতি সৌধ ও জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে দলটি।

আজ শনিবার (৭ ডিস্মেরবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কর্মসূচির কথা জানান।

এছাড়া একটি আলোচনা সভা করা হবে যার সময় ও তারিখ পরে জানানো হবে৷ ১৭ ডিসেম্বর র‍্যালি করা হবে। খালেদা জিয়ার কার্যালয় ও নয়াপল্টন অফিসে আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া সব অঙ্গ সংগঠন নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করবে। আর মুক্তিযোদ্ধা দল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে আলোচনা সভা করা হবে।

বুদ্ধিজীবি দিবসের কর্মসূচির মাঝে রয়েছে: ১৪ ডিসেম্বর নয়াপল্টন ও সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় ও কালো পতাকা উত্তলন, ১৫ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আলোচনা সভা। এছাড়া অঙ্গ সংগঠন গুলো নিজ নিজ সুবিধা মত কর্মসূচি পালন করবে। সারাদেশে জেলা ও মহানগরে ও একই কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের মনোভাব দেখলে মনে হয় তারাই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের ঠিকাদার। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূল যত চেতনা গণতন্ত্র তারা সেটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছি সে স্বপ্ন তারা শেষ করে দিয়েছে। যে দলটি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের হাতেই বারবার মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। তারা ৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করেছে সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেছে। আবার ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে আছে বন্দুকের জোরে।

তিনি বলেন, যে নেত্রী সারাজীবন গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে তাকে মিথ্যা মামলায় অন্যায় ভাবে আটক করে রেখেছে। এই বেগম খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন। যখন তার স্বামী স্বাধীনতার ঘোষানা দিয়ে রণাঙ্গনে ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অফিসের সামনে আবার সেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। পুলিশ র‍্যাব আমাদের ভয় দেখানোর জন্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা যখন বেগম জিয়ার জামিন না দেয়ার পর জামিন দেয়ার দাবীতে অবস্থান করেছে তখন সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীরা বলছেন আইনজীবীদের তাণ্ডব ক্ষমার অযোগ্য। অথচ তারা কি তাদের পেছন দিকে তাকিয়ে দেখেছে?

তারা যেভাবে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ভেঙেছে, বিচারপতিদের কামরা ভাঙচুর করে আদালতে লাঠি মিছিল করেছে। হাইকোর্টে বস্তি বসিয়েছে।

এসব কি জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে? বিএনপির আইনজীবীরা দাবী জানিয়ে ক্ষামর অযোগ্য অপরাধ করে থাকে তাহলে আপনারা ক্ষমা পেলেন কি করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, অতি দ্রুত খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। না হলে দেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আপনারাই ক্ষমার অযোগ্য হবেন। দেয়ালের লেখা গুলো পড়ুন, জনগণের ভাষা বুঝুন। আপনারা তো উন্নয়ন উন্নয়ন করেন, অথচ পেয়াজের দাম তো কমেই নাই উল্টো বেড়েই চলছে।

তিনি বলেন, আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে দানবদের পরাজিত করতে হবে। আমরা স্বাধীনতার মাসে শপত নিয় এ দানবকে পরাজিত করতে পারি একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে। ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। ঐক্যবদ্ধ হয়েছে৷

তিনি আরো বলেন, এ সরকার গোটা দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। পত্রিকায় দেখি সব কিছুর সুচক নিচের দিকে। সরকার টাকা পাচারের কথা বলে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.