বাঁশখালীতে প্রথমবারের মত ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহ শুরু

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ বাঁশখালীতে লটারির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছেন উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর। প্রথমবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের নিকট থেকে লটারিতে আমন ধান সংগ্রহ করার লক্ষে বাঁশখালী উপজেলার কৃষি বিভাগের কৃষি কার্ডধারী তালিকাভুক্ত নারী ও পুরুষ মিলে ৪ হাজার ৩০ জন কৃষকদের মধ্যে ১ হাজার জন কৃষক-কৃষানীর নিকট থেকে লটারিতে ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে এই আমন ধান সংগ্রহ করছেন খাদ্য অধিদপ্তর।

এই উপলক্ষে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা কৃষকদের উপস্থিতিতে উপজেলা দিশারী (কৃষাণ-কৃষাণী) হলরুমে লটারি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেহ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা অনিক রায়, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মংখ্যাই মারমা, চাঁনপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদুল ইসলাম, সাংবাদিক অনুপম কুমার অভি, কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ, আবদুল জব্বার, সৈকত আচার্য্য প্রমুখ।

লটারি অনুষ্ঠানে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার তালিকাভুক্ত প্রতি কৃষকের নিকট লটারির মাধ্যমে সরকারি ভাবে সর্বমোট ১ হাজার ৫শ ১৯ মে.টন বা ১৫,১৯,০০০ কেজি ধান সংগ্রহ করা হবে।

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, শুকনা, চিটামুক্ত, উজ্জ্বল সোনালী রঙের বিনির্দেশ সম্মত ধান ক্রয় করা হবে। তবে ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে আদ্রতা সর্বোচ্চ ১৪%, বিজাতীয় পদার্থ সর্বোচ্চ ০.৫%, ভিন্ন জাতের মিশ্রন সর্বোচ্চ ৮%, অপুষ্ট ও বিনষ্ট দানা সর্বোচ্চ ২%, চিটা সর্বোচ্চ ০.৫% যাচাইক্রমে ধান ক্রয় করা হবে। টাকা পরিশোধের জন্য সোনালী ব্যাংকে কৃষকদের ১০/- টাকায় একাউন্ট খোলা হয়েছে। ওই একাউন্টেই ক্রয়কৃত ধানের মূল্য পরিশোধ করা হবে। আগামী ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারিতে উত্তীর্ণ কৃষক-কৃষানীর কাছ থেকে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।

লটারিতে ধান বিক্রয়ের সুযোগ পাওয়া কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘জীবনে প্রথমবারের মত সরকারি ভাবে ধান বিক্রির সুযোগ পেয়েছি, তাও লটারির স্বচ্ছতার মাধ্যমে। এভাবে যদি কৃষকের কাজ থেকে ধান কিনে নেওয়া হয় তাহলে আমরা কষ্ট করে ধান উৎপাদনের সুফল পাব।’

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মংখ্যাই মারমা বলেন, ‘সরকারি নিদের্শনা অনুসারে সাধারণ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘সরকার কৃষকদেরকে গুরুত্ব দিয়ে উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছেন। এতে কৃষকরা লাভবান হবে। ভবিষ্যতে চাহিদা অনুসারে ধান সংগ্রহকারী কৃষকের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হবে।’তাতে করে যে সব চাষী বেশি পরিমান চাষ করে তারা ন্যায্য মুল্যে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারবে ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.