চবিতে আসছেন প্রধান বিচারপতি

0

শিক্ষাঙ্গণ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)র এক একর জায়গা জুড়ে নব-নির্মিত আইন অনুষদ ভবন উদ্বোধন করতে আগামী মাসের ৩ অক্টোবর সোমবার চবিতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। চবির (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.কামরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৩ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এই ভবন উদ্বোধনের সম্মতি দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি উপস্থিত থেকে এটির উদ্বোধন করবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই আইন অনুষদ ভবনটিতে আছে অত্যাধুনিক মাল্টিমিডিয়া পাঠদান কক্ষ, একটি কম্পিউটার ল্যাব, একটি সেমিনার কক্ষ, ৫শ’ ৫০ আসন বিশিষ্ট মিলনায়তন ও একটি প্রতীকী আদালত ।

এছাড়াও নবনির্মিত আইন অনুষদের অ্যাকাডেমিক ভবনের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ সুপরিসর, ইন-বিল্ট মাল্টি মিডিয়া প্রজেকশন, সাউন্ড সিস্টেম ও মুটিং এর জন্য রয়েছে বিশেষভাবে নির্মিত ‘মুটিং রুম’।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক কমন রুম, প্রার্থনা কক্ষ, ক্যান্টিন, আধুনিক ফিটিংসের পর্যাপ্ত ওয়াশ রুম । পুরো আইন অনুষদ ভবনটি উচ্চগতির তারহীন ওয়াইফাই ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং এর আওতাভুক্ত। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রয়েছে উচ্চ ক্ষমতার নিজস্ব জেনারেটর এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য নিজস্ব ‘ওয়াটার পিউরিফিকেশন সিস্টেম’।

নতুন ভবনে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সমৃদ্ধ সেমিনার লাইব্রেরি এবং রিডিং রুম । শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সুবিশাল ‘কম্পিউটার ল্যাব ‘। আছে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি কনফারেন্স সেন্টার যা কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আলোক প্রক্ষেপণের সুবিধা যুক্ত । শিক্ষকদের জন্য ফুল-ফার্নিশড কক্ষ নিয়ে নির্মিত হয়েছে আলাদা ভবন। শিক্ষকদের চেম্বার ছাড়াও রয়েছে ডিন এবং চেয়ারম্যানের পৃথক অফিস কক্ষ ও মিটিং কক্ষ। রয়েছে আধুনিক শিক্ষক লাউঞ্জ এবং গেস্ট লাউঞ্জও।

আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘নব নির্মিত আইন অনুষদ ভবন নির্মিত হয় এ কে খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে। সকল আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি কেনার ব্যয়ভারও এ কে খান ফাউন্ডেশন বহন করছে এবং নির্মান ব্যয় প্রায় ২০ কোটি টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯২ সালে আইন অনুষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠদানের উপযোগী একটি ভবন নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে শুরু করে নানা জায়গায় অনেক চেষ্টা তদবির করা হয়েছিল, কিন্তু কোনো জায়গা থেকেই সহায়তা পাওয়া যাচ্ছিল না । অবশেষে একে খান গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ভবন নির্মাণ করে দিতে রাজি হয়েছিল।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.