পদ্মা সেতুর ৩ কিলোমিটার দৃশ্যমান
সিটি নিউজ ডেস্কঃ চলতি বছরের শেষ দিনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের ওপরে বসল পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান ‘৩-এফ’। এতে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রঙের ‘৩-এফ’ নম্বরের স্প্যানটি বসানো হয়। ২০তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে এই মাসে মোট তিনটি স্প্যান বসানো হলো। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ২০তম স্প্যান ‘৩-এফ’ পিলারের কাছে নেওয়া হয়। স্প্যানটি বহন করে তিন হাজার ৬০০ টন ওজন ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান-ই’। পরে ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে তিনটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা আছে। এ শিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে। পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ২০টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। আরও দুটি স্প্যান চীন থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা হয়েছে। ছয়টি স্প্যান তৈরির কাজ চীনে চলমান আছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সব স্প্যান দেশে চলে আসবে।
উল্লেখ্য, পুরো সেতুতে দুই হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে দুই হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠন সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।