চট্টগ্রামেও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু : অপেক্ষায় ৬৬ দিন
সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ, ২০২০ তারিখ হতে ১৭ মার্চ, ২০২১ সময়কালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মুজিববর্ষ আগমনের ক্ষণগণনা আজ ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে শুরু হয়েছে। জাতীয় প্যারেড় স্কয়ার, ঢাকা হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন ক্লক বা ক্ষণগণনা ঘড়ি উদ্বোধন করেন।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার ( ১০ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম নগরের জিমনেসিয়াম মাঠে ঢাকা হতে প্রচারিত অনুষ্ঠান সরাসরি প্রদর্শণের মাধ্যমে এ ক্ষণগণনা শুরু হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ক্ষণগণনার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ক্ষণগণনার জন্য নগরীতে চারটি ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। ঘড়িগুলো নগরীর আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনের সম্মুখে, সার্কিট হাউজের সম্মুখে, আদালত ভবন এবং শাহ আমানত সেতু এলাকায় স্থাপন করা হয়। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্ষণগণনা উদ্বোধনের সাথে সাথে এসব ঘড়িতে ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।
ক্ষণগণনা ঘড়ি অনুযায়ী আর মাত্র ৬৬ দিন পরেই মুজিববর্ষ শুরু হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে মুজিববর্ষের জন্য অপেক্ষা করছে। আজ ক্ষণগণনা উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠান জিমনেসিয়াম মাঠ ও আশেপাশের এলাকায় দাঁড়িয়ে বসে অসংখ্য মানুষ উপভোগ করেছেন। একই রকম বিমান অবতরণ এবং বিমানের গায়ে বঙ্গবন্ধুর ইমেজ বা আলোক অবয়ব এবং সে অবয়বের বিমান থেকে অবতরণ দেখে ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে চট্টগ্রামের মানুষ। তাদের চোখে ভেসে উঠেছে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তারিখের সেই মান্দ্রেক্ষণ।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন মানুষের বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে আবেগঘন পরিবেশ দেখে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যেও আবেগের সৃষ্টি হয়েছে। আপামর জনসাধারণ প্রধানমন্ত্রীর সাথে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমীন এমপি, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনাসহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।