ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সিটি নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন সবাই। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে এই কার্যক্রম চলবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কেন্দ্র থেকেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।
অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিপিআই) সূত্র জানিয়েছে, দেশের নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে ই-পাসপোর্টের জন্য তাদের দু’জনেরই ডিজিটাল ছবি ও ডিজিটাল সই সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ই-পাসপোর্ট কার্যকর করতে প্রকল্পের আওতায় জার্মানি থেকে ৫০টি ই-গেট আনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ই-গেট দেশে এসেছে এবং তা স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনটি করে মোট ছয়টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। ডিপার্টচারে তিনটি ও অ্যারাইভেলে তিনটি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। গেটগুলো ইতোমধ্যে শাহজালাল ইমিগ্রেশন পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
মেয়াদ কতদিন, কত টাকায় মিলবে?
পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩,৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫,৫০০ ও অতীব জরুরি ফি ৭,৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫,০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭,০০০ ও অতীব জরুরি ফি ৯,০০০ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫,৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭,৫০০ ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭,০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯,০০০ ও অতীব জরুরি ফি ১২,০০০ টাকা।