প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সংগ্রাম করে যাচ্ছেনঃ শিক্ষা মন্ত্রী

0

সিটি নিউজঃ শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আজন্ম স্বপ্নের সবটুকু তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। সে ধারাবাহিকতায় তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুখী সমৃদ্ধ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী আজ বুধবার চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মেরিন একাডেমির ৫৪তম ব্যাচ ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মেরিন একাডেমির কমান্ডান্ট ড. ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ হোসাইনসহ মেরিন একাডেমির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সানুগ্রহ নির্দেশনায় দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ সালে মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭১ সালে এ মেরিন একাডেমিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে।

স্বাধীনের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ একাডেমিকে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি নামে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৭৩ সালে নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এর বিভিন্ন ধরণের সম্প্রসারণ করেন। তিনি বলেন, আজ মেরিন ক্যাডেটদের নেতৃত্ব ও পেশাদারিত্বের জন্য বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।

তারা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জাহাজে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে ডা. দীপু মনি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে দেশের সম্মান রক্ষা করে কাজ করবে। বিদেশে দেশের দূত হিসেবে দেশ ও জাতির সম্মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি আন্তর্জাতিক সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনায় বিশ্ব মানের মেরিন অফিসার তৈরির জাতীয় প্রতিষ্ঠান।

শিপিং এবং মেরিটাইম সেক্টরে এ অঞ্চলে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে নলেজ সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে আরো আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে ৪ হাজার ৬ শত মেরিন ক্যাডেট দেশে-বিদেশে কর্মরত আছেন। তারা বছরে আয় করে ২ হাজার কোটি টাকা।

পূর্বে একজন ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ ব্যয় বহন করতে হতো দুই লক্ষ টাকা। শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ ফি কমিয়ে এক লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১২ সালে ফিমেল ক্যাডেট প্রশিক্ষণের সূচনা করা হয়। ফিমেল ক্যাডেট ক্যাডেটরাও দেশে-বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ ৫৪তম ব্যাচে নটিক্যাল শাখায় ৪৯ জন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৫৫ জনসহ মোট ১০৪ জন মেরিন ক্যাডেট একাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। এবছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তির জন্য নৌ শাখায় আবু সালেহ, প্রকৌশল শাখায় ইকবাল মাহমুদ ইকরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের রৌপ্য পদক লাভ করেন। এছাড়াও সকল ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য মো. সালমান হাসানকে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.