একটি মহল প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছেঃ শাহ আলম খাঁন

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডে দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, সংগঠক, ব্যবসায়ী মো. শাহ আলম খাঁন।

একটানা ১৭ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম, মেধা ও মননে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত এই সমাজসেবক চট্টগ্রামে ও ভোলায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে অনুদানসহ নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডে মানুষের মধ্যে অর্থ ও ত্রাণ সমাগ্রী বিতরণসহ অনেক জনহিতকর কাজে জড়িত। প্রচার বিমুখ ও কোন রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই সংগঠক ও সমাজ সেবক হিসেবে সমাজে একজন দানশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবেও তিনি পরিচিত।

একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহ আলম খাঁন বলেন, আমাদের সংগঠন ভোলা জেরা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ও চট্টগ্রামে শেখ মুজিব রোডে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। আমরা ভোলার বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকি। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের সেবা করে থাকি।

চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ব্যবসার সুবাধে আমার একটা ভাল অবস্থানের সঙ্গে আলম ব্যাটারী হাউস নামকরনে পরিচিতি লাভ করেছে। ইদানিংকালে কিছু কুচক্রিমহল আমার প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে আমাকে উদ্দেশ্য করে আমার প্রতিষ্ঠানের “লগো” ব্যবহার করে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও আলম ব্যাটারী হাউসের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছে। পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের চেষ্টা করছে।

আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ডবলমুরিং থানায় সাধারণ ডায়রী করেছি। সরকারের সকল প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আমার আবেদন তারা যেন এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেন। আপনি জানেন, আমি ভোলা জেলা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল এর সেক্রেটারীর দায়িত্বে রয়েছি। এ সংগঠনের মাধ্যমে ভোলাবাসীকে আমার পক্ষ থেকে সংগঠিত করেছি বিভিন্নভাবে।

আমি কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, ফেরী বাস্তবায়নে সফল হয়েছি। সেটা আরও আগে ১০ বছর আগ থেকে সফল হয়েছি। আমি সেক্রেটারী পদে আছি ৪ বছর হয়েছে। আগে যারা ছিলেন কর্মকর্তা এটা তাদের অবদান। যেমন কেন্দ্রীয় সভাপতি কাসেম সাহেবের অবদান, কেন্দ্রিয় সাবেক সেক্রেটারী জহিরুল ইসলাম মহোদয়ের অবদান, নজরুল ইসলাম ও মোমিন সাহেব, মরহুম মফিজ সাহেবের মত অনেকের অবদানকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

তিনি বলেন, আমি সেক্রেটারী নির্বাচিত হওয়ার পর কক্সবাজারে পিকনিক উপহার দিয়েছি। সংগঠনের সকল সদস্যকে আইডেনটি কার্ড উপহার দিয়েছি। ভোলায় দুস্থ মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছি।

আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার ঔষধ ও ক্যাশ টাকা প্রদান করেছি। রোহিঙ্গা সমস্যা ছিল জাতীয় সমস্যা। জাতির সমস্যা সমাধানে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল গর্বের ও আনন্দের। ভোলাবাসী চর অঞ্চলের অবহেলিত একটা জনপদের মানুষ। এই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমরা উঠে এসে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটা বড় সাফল্য।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভোলার কোন রোগীর সংবাদ অবগত হলে আমরা সহায়তা প্রদান করে থাকি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ভোলায় লাশ নিতে অক্ষম হয় অথবা অর্থের প্রয়োজন হলে সেটা আমরা ব্যবস্থা করি। সামাজিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে কোন মানুষ অসহায় হলে আমরা সাহায্যের হাত প্রসারিত করে থাকি। আমরা আইনগত সহায়তাও প্রদান করি।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সংগঠক মো. শাহ আলম খাঁন বলেন, ব্যবসায় আমার সাফল্যকে অনেকে সহজভাবে নিতে পারেনি। ঈর্ষন্বিত হয়ে অনেকে আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ীক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত করছে। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে ও মানুষের দোয়া ও ভালবাসায় সব অপতৎপরতা ব্যর্থ হবে ইনশল্লাহ।

আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দেশের গুণীজন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আপনি জানেন, চট্টগ্রামে শেখ মুজিব রোডে আমার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আলম ব্যাটারী হাউস দীর্ঘদিন আইপিএস ও ব্যাটারী যানবাহনসহ সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ীসহ বিভিন্ন সংস্থায় সরবরাহ করে যথেস্ট সুনাম অর্জন করেছি। মানুষের দোয়া ও ভালবাসায় পথ চলতে চাই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.