এসডিজি স্থানীয়করণ করতে হবেঃ মুখ্য সমন্বয়ক

0

সিটি নিউজঃ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ বলেছেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এমডিজি সম্পন্ন করেছে। জাতিসংঘ-বাংলাদেশ ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এসডিজি স্বাক্ষর করেন। এসডিজিতে ১৭টি গোল, ১৬৯ টি লক্ষমাত্রা ও ২৩২ টি সূচক রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

২০৩০ সালে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সকলের একসাথে কাজ করতে হবে। এসডিজি শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য এখন সকলের অংশগ্রহণ জরুরি। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল নারী, পুরুষ ও শিশু সকলের অংশগ্রহণে এসডিজির টেকসই বাস্তবায়ন করতে হবে। যেহেতু এসডিজি মূলত একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ড এবং বাস্তবায়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয়। যথাযথভাবে অর্জনের জন্য এসডিজি স্থানীয়করণ ও অগ্রাধিকার নির্ণয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) মুখ্য সমন্বয়ক ( সিনিয়র সচিব) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘কেউ পিছিয়ে পরে থাকবে না’ বাস্তবায়ন বিষয়ে স্থানীয় অংশীজনের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এর সভাপতিত্বে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো.নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহেদুজ্জামানসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা প্রশাসকগণ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারের সকল দপ্তর প্রধান, এনজিও প্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, চেম্বার প্রতিনিধি, সমাজকর্মী ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন সুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। বাঙ্গালি জাতি হিসেবে আমরা জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। যে জাতি গুণীজনের সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে জানে না, সে জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। তিনি বলেন, জাতির পিতা গ্রামের তৃনমূল পর্যায়ের মানুষের জন্য বেশি গুরুত্ব দিতেন। সে লক্ষ্যে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে ধাবমান রয়েছে। বাংলাদেশ ২০৫০ সালে বিশে^র ১২তম অর্থনীতির দেশ হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের অংশগ্রহণ করতে হবে। কাউকে পিছনে ফেলে উন্নয়ন টেকসই হবে না। এ জন্য সকল ধরণের দারিদ্র দূর করতে হবে। মুখ্য সচিব বলেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন ও গুণগত শিক্ষা প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের জনশক্তিকে দক্ষ মানবশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

এজডিজির লক্ষ্যমাত্রা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ১০ উদ্যোগ এসডিজি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা স্বপ্ন করি শুরু, লেগে থাকি বেশ। স্বপ্ন দেখে বসে থাকবে না। স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আমি-তুমি-সে মিলে আমরা সবাই মিলে গড়বো বাংলাদেশ। সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে চাই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.