নারায়নগঞ্জ থেকে সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়েছেঃ আইইডিসিআর

0

সিটি নিউজ ডেক্কঃ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলায় এখন রোগী শনাক্ত হচ্ছে, সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা এখন লক্ষ্য করছি, দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন যে সবরোগী পাচ্ছি তারা ওইসব ক্লাস্টারভুক্ত এলাকা থেকে গিয়েছে। অনেকগুলো জেলায় যখন রোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে তখন তারা বলেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এ তথ্য থেকে বোঝা যায়। আমাদের কতটুকু ঘরে থাকা প্রয়োজন।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এ পর্যন্ত যত রোগী আমরা পেয়েছি, তাদের বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের সংক্রমণ হওয়ার প্রথম জায়গাটা জনসমাগম। তাই যেকোনো ধরনের জনসমাগম, অপরিচিত জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। আমাদের ঘরে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে আমাদের যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সেই ছুটি, ছুটি হিসেবে নিলে চলবে না। এই ছুটি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন শুধু ঘরে থাকার জন্য।

‘নারায়ণগঞ্জ জেলাকে করোনা ভাইরাসের জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছি। এখন নারায়ণগঞ্জকে অন্য জেলা থেকে আলাদা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হওয়া ১১২ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই ৬২ জন শনাক্ত হয়েছে। বাকি সবাই ঢাকার বাইরে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের আছেন ১৩ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩০ জন।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ১১২ জনের মধ্যে পুরুষ ৭০ জন, নারী ৪২ জন। বয়স বিভাজনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের নিচে আছে তিনজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ২১ থেকে ৩০ মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরে মধ্যে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন, ৬০ এর বেশি বয়সের বেশি রয়েছেন ১১ জন।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার বাসিন্দা। তিনি পুরুষ, বয়স ৬০ বছরের অধিক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ঘরে থাকার জন্য সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। কিন্তু সবাই ঘরে থাকছেন না। ঘরে থাকতে হবে। আর এজন্য এখন সংক্রমণ ব্যাধি আইন প্রয়োগ করতেও আমরা দ্বিধাবোধ করছি না।

তিনি বলেন, আজ পবিত্র শবে বরাতের রাত। আমরা ঘরে বসে, নিরাপদ দূরত্বে পরিবার সদস্য নিয়ে এবাদত করবো, মোনাজাত করবো। আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করবো আমাদের, বাংলাদেশের মানুষ, পৃথিবীর মানুষকে এই রোগ ব্যাধি থেকে যেন মুক্ত রাখেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভিতরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ৬১৮টি এবং ঢাকার বাইরে ৪৭৯টি নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৯৭টি। কোয়ারেন্টাইন আছেন ১০ হাজার ৭৮৭ জন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.