পটিয়ায় করোনাভাইরাসের আক্রান্তে এক ব্যক্তির মৃত্যু
সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় করোনাভাইরাসের আক্রান্ত একজনের মৃত্যু । গত ১৩ মে বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট সংক্রমক ব্যধি হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার পর চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানান, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা।
মৃত ব্যক্তির নাম পঞ্চানন বিশ্বাস (৫৯) সেই পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপাড়া গ্রামের মৃত রায়মোহন বিশ্বাসের পুত্র। নিহত ব্যাওি চট্রগ্রাম নগরের চাকতাই চালের মিলে চাকুরীররত ছিলেন।
নিহতের মেঝ মেয়ে মৌমিতা বিশ্বাস জানান, গত বুধবার সকালে তার বাবার করোনায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তার বাবার নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্ত ব্যাক্তি ও তার জেটার বৃদ্ধের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উৎস পাওয়া যায়নি। পঞ্চানন বিশ্বাস চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট সংক্রমক ব্যধি হাসপাতালের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গতকাল ১৩ এপ্রিল তাকে আইডি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রায় রাত সাড়ে ৭ টার তার বাবার মৃত্যু ঘটে। মৃত ব্যক্তিটির বাড়ি এলাকার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপাড়া গ্রামের বাড়ী ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন। তারা ৪ বোনের মধ্যে মৌমিতা মেঝ, তাদের কোন ভাই নেই বলে তিনি জানান।
ইউ, এন, ও, ফারহানা জাহান উপমা ও পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাছান এ বিষয়ে জানান, প্রশাসনের উপস্থিতে গত ১৩মে রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় নিহত করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক দাহ করা হচ্ছে। ওই এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন করোনা সংক্রমনের ফলে কেউ যাতে ঘর থেকে বের না হান প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, পটিয়ায় গত ১২ এপ্রিল এক প্রতিবন্ধী শিশুর প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। তাকে আন্দরকিল্লাহ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনের চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু ঘটে। গত সোমবার সুস্হ হয়ে বাড়ি ফেরৎ কেলিশহর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জানে আলমের পুএ হার্ট এ্যাটাকে গত মঙ্গলবার মারা যান। ১৬ এপ্রিল পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকায় একজন মহিলা করোনা আক্রান্ত হন। গত ৪ মে একই এলাকার মহিলাটির দেবর করোনায় আক্রান্ত হয়। ৭ মে পটিয়া পৌর সদরের কামাল বাজার এলাকার রাজীব চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী আক্রান্ত হওয়ায় তাকে গত ৮ মে ইনজেকশন পুশ করা পটিয়া হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় পজেটিভ আসে।
এছাড়া গত ১১ মে পৌর সদরের রাজীব চৌধুরীর পরিবারের ৯ সদস্যসহ মোট ১১ জন করোনা আক্রান্ত হন। সর্বশেষ গত বুধবার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের একজন ও কোলাগাও ইউনিয়নের একজনের করোনা পজেটিভ আসলে তার মধ্যে কোলাগাও ইউনিয়নের আক্রান্ত ব্যক্তিটি মৌমিতার বাবার মৃত্যু ঘটে। এ পর্যন্ত পটিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৭ জন। তন্মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু ঘটে। একজন সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন। বাকী ১৪ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।