এবার মাশরাফি-তামিম-মুশফিকদের ত্রাণ ছিনতাই

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অনেক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এগিয়ে এসেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো প্রথম সারির খেলোয়াড়রা। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে নিয়ে তাদের জন্য ময়মনসিংহে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তাদের পাঠানো সেই ত্রাণ সামগ্রী নাকি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছে।

গত ৪ মে উপজেলার বাঙ্গালকান্দি ও সৈয়দপাড়ায় বিতরণকারীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তবে থানায় মামলা নেওয়া হয় চারদিন পর ৮ মে। পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ‘টিম বয়’ নাসির মিয়া করোনা দুর্যোগে মাশরাফি, রিয়াদ, তামিম ও মুশফিকের সহযোগিতায় তার নিজ গ্রাম বাঙ্গালকান্দি ও পার্শ্ববর্তী সৈয়দ পাড়ায় ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ দেয়ার উদ্যোগ নেন। গত ৪ মে বাঙ্গালকান্দি গ্রামে কিছু মানুষকে ত্রাণ দিয়ে সৈয়দ পাড়ায় ত্রাণ দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা ও ত্রাণ ছিনতাই করা হয়। এতে নাসির মিয়া ও তার বড় ভাই বাবুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ চুরির অনেক ঘটনা ঘটলেও ক্রিকেটারদের অর্থায়নে এমন সহায়তায় এটাই প্রথম হামলার ঘটনা। এ ঘটনায় বিস্মিত তামিমরা। জানা গেছে, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। অভিযুক্তরাও এখন হামলা ও ত্রাণ লুটের ঘটনা অস্বীকার করছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যখন এই দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতার চেষ্টা করছি, তখন কেউ কেউ আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এতে আমরা হতাশ।

তিনি আরও বলেন, নাসির ২০-২২ বছর ধরে জাতীয় ক্রিকেট টিমে চাকরি করছেন। তিনি অত্যন্ত নম্র-ভদ্র; সবার আদরের। নাসিরের পরিবারের উপর হামলার পরও তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে; যা মোটেও কাম্য নয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.