তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি সামশুল আলমের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

0

সিটি নিউজঃ সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ সামশুল আলম মঙ্গলবার (১৬ জুন) ভোর সাড়ে ৬ টায় পাঁচলাইশ থানা এলাকার সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না– রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। শামসুল আলমের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়। তিনি দুই মেয়ে ও দুই ছেলেসহ বহু আত্মীয় স্বজন, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে যান।

তিনি আগ থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। সম্প্রতি দুর্ঘটনাবশত তিনি পায়ে আঘাত পান। গত রবিবার (১৪ জুন) রাত আড়াইটার দিকে শামসুল আলমের উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্ট অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়। সেই রাতেই তাকে ইউএসটিসি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হলে সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) বাদে জোহর দুল্লবের পাড়া জামে মসজিদে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে শামসুল আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিঃ যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।

এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামে বিনাচিকিৎসায় বেশীরভাগ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা সংক্রমিত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এখন করোনার হটস্পট হিসেবে চিন্হিত। করোনা শনাক্তের চেয়ে উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে বেশী মানুষ। করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট না থাকার কারনে করোনা হাসপাতালে তাদের ভর্তি নিচ্ছে না। আবার করোনা উপসর্গ থাকার কারনে অন্য হাসপাতালগুলোতেও তারা ভর্তি হতে পারছেন না। এতে বেশীরভাগ মানুষ বিনাচিকিৎসায় মারা যাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে প্রতিদিন করোনায় মৃত্যুর চেয়ে উপসর্গ ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা চার গুনের বেশী। সরকারের ব্যর্থতার কারনেই দিন দিন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। চট্টগ্রামে ডাক্তার, পুলিশ ও অন্তঃসত্ত্বা নারী সহ বেশীরভাগ মানুষই করোনা উপসর্গ নিয়ে বিনাচিকিৎসায় মারা গেছে। শামসুল আলমও সময়উপযোগী চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আলহাজ্ব শামসুল আলম একজন সৎ, বিনয়ী ও ভদ্র মানুষ ছিলেন। তিনি বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। সাতকানিয়া বিএনপিকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে তার ভুমিকা ছিল অপরিসীম। তার মৃত্যুতে ব্যবসায়ী সমাজ একজন অবিভাবককে হারাল। তার মৃত্যুতে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হবে তা সহজে পূরণ হবার নয়। তার অবদান বিএনপি আজীবন শ্বরণে রাখবে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। আমরা শামসুল আলমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবার,আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.