মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধ্যাদেশ হচ্ছে

0

অর্থবাণিজ্য ডেস্ক : মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন ২০১৫ অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশ করবে সরকার। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন ভূইঞা জানান, গত ১৭ আগস্ট মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন ২০১৫ ভেটিং সাপেক্ষে অনুমোদন করেছিল মন্ত্রিসভা। কিন্তু এর প্রসেসিংয়ের আগেই সংসদ শেষ হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে অর্ডিনেন্স আকারে আইনটি জারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন ২০১৫ এর সংশোধিত আইনে এই সংক্রান্ত মামলা তদন্তে যৌথ তদন্ত ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তদন্ত ইউনিটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইডি) প্রতিনিধিরা থাকবেন।

গত ১৭ আগস্ট সচিব জানিয়েছিলেন, বিদ্যমান আইনে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়গুলো সার্বিকভাবে দুদকের আওতায় ছিল। দুদক থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সংস্থা তদন্ত করত। সংশোধিত আইনে দুনীর্তি ও ঘুষ সংক্রান্ত মামলা তদন্ত করবে দুদক। এছাড়া অপহরণ মুদ্রা জালকরণ, দলিল দস্তাবেজ জালকরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচার, চোরাচালানী ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থ যোগান ইত্যাদি অপরাধে পুলিশ, কাস্টম, এনবিআর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ স্ব স্ব সংস্থা তদন্ত করবে।

জেল জরিমানা: সংশোধিত মানি লন্ডারিং আইনে শাস্তির পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। মানি লন্ডারিং অপরাধ বা চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্রের জন্য অন্যূন চার বছর এবং অনধিক ১২ (বার) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অতিরিক্ত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ মূল্যের সমপরিমাণ বা ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট স্বতন্ত্র ইউনিট: সংশোধিত আইনে মানি লন্ডারিং বিষয়াদি পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে স্বতন্ত্র ইউনিট করা হয়েছে। ইউনিটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় থাকলেও কাজ করবে স্বাধীনভাবে। এ ইউনিট প্রধান হিসেবে ৪ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদমর্যাদার একজন নিয়োগ দিবে সরকার। প্রশাসনিকভাবে গভর্নরের তত্ত্বাবধানে থাকবেন তিনি।

সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাসমূহ বা অন্য কোনো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কর্তৃক সংরক্ষিত বা সংগৃহীত তথ্যাদি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে সরবরাহ করবে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা নিতে পারবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.