মাজারে জোড়া খুনে জেএমবির সম্পৃক্ততা স্বীকার

0

গোলাম সরওয়ার, চট্রগ্রাম : চট্রগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার বাংলাবাজার আকবরের পাহাড়ে পীরের আস্তানায় ঢুকে দিনদুপুরে গলা কেটে পীরসহ দু’জনকে হত্যার ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যরা।

কর্ণফুলীর খোয়াজনগর থেকে গ্রেনেড-গুলিসহ আটক পাঁচ জেএমবি সদস্য পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। এসএমএস বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) দেবদাস ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘বায়েজিদের বাংলাবাজার এলাকায় মাজারে ঢুকে গলা কেটে এক পীরসহ দু’জনকে হত্যাকান্ডে আসামিকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা গেছে। কর্ণফুলী থেকে আটক পাঁচ জেএমবি সদস্যের মধ্যে একজন হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে।’

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (উত্তর) বাবুল আক্তার ভোর ৫টার দিকে বলেন, ‘আটক পাঁচ জেএমবি সদস্যের মধ্যে চাঁদপুর উপজেলার মুমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন ওরফে বাবু (২৫) মাজারে ঢুকে দু’জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে নগরীর বায়েজিদ থানার বাংলাবাজার এলাকার আকবরের পাহাড়ে কথিত পীর ন্যাংটা ফকিরের আস্তানায় ঢুকে গলা কেটে ওই পীর ও তার খাদেমকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, আনুমানিক ২২/২৪ বছর বয়সী এক যুবক জিন্স প্যান্ট ও টি শার্ট পরে ছোরা দিয়ে তাদের হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় জনতার প্রতিরোধে পড়লে সে উর্পযুপরি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়েকজনকে আহত করে পালাতে সক্ষম হয় ওই খুনি। এঘটনায় নিহত খাদেমের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.