বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক রণকৌশল নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন বঙ্গমাতা

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর উত্তাল রাজনৈতিক জীবনে একজন সার্বক্ষণিক ছায়াসঙ্গী হয়ে কঠিন সময় উত্তরণে পরামর্শ ও রাজনৈতিক রণকৌশল নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।

শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গমাতা এতই দূরদর্শী ছিলেন যে- বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তাকে কাগজ-কলম যুগিয়ে দিয়ে লেখালেখি করার তাগিদ দিয়েছিলেন। সেই তাগিদ থেকেই বঙ্গবন্ধুর লেখালেখির ফসল- অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারে রোজনামচা।

তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা তখনই পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন, যখন তার জীবনসঙ্গীনি নিজের রাজনৈতিক চেতনা, আদর্শ ও স্বপ্ন সাধনার পরিপূরক প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেন। জাতির জনকের পরিপূর্ণ রাজনৈতিক জীবনে অনিবার্য ও অতুলনীয় অংশ হলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ও হুলিয়া মাথায় আত্মগোপনে, তখন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সংসার আগলে রাখার পাশাপাশি দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের যোগাযোগের সূত্রাধার ছিলেন। জেলখানায় বন্দি বঙ্গবন্ধুকে বাইরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথাও তিনি অবহিত করতেন।

‘আমরা জানি, লাহোরে ’৬৯ সালে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর সাথে গোল টেবিল বৈঠকে যোগদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বেগম মুজিব জেলগেইটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন- প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব গ্রহণ করা যাবে না। সেই সময় এটাই ছিল সবচেয়ে কার্যকরী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।

অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মহিয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী হিসেবে নন, জাতির কঠিন ক্রান্তিকালে একজন দক্ষ রাজনীতিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে স্বীয় কর্মগুণে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন।

মাহতাব বলেন, তিনি কঠিনকে জয় করার মতো একজন সাহসিনী যোদ্ধা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন কারান্তরে তখন দিশেহারা অগণিত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অভিভাবক হিসেবে তিনি টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রেরণা যুগিয়ে গেছেন। তাই তিনি আমাদের মাঝে শুধু স্মৃতি নয়, প্রতিদিনের প্রেরণা হয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, ধর্ম সম্পাদক জহুর আহমেদ, উপ-প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.