হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় করোনা মোকাবেলা সম্ভব- ডা.রোকসানা

0

নিজস্ব প্রতিনিধি,সিটি নিউজ : হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণভিত্তক চিকিৎসা পদ্ধতি, তাই রোগীর রোগ লক্ষণ অনুযায়ী সদৃশ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে যেকোন রোগ আরোগ্য করা সম্ভব।বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মহাসংকটের নাম কোভিড ১৯ বা করোনাভাইরাস, যা বিশ্বমহামারীর আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই এ ভাইরাসে আক্রান্ত।ইতোমধ্যে ইতালি, স্পেন, কিউবা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে অতি দ্রুততার সঙ্গে বহু করোনা রোগী সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করেছেন। ইউনানি, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিষয়ক মন্ত্রণালয়টি এক বিবৃতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায় সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশ করেছে।

সিটি নিউজের সাক্ষাৎকারে এসব উদাহরণ টেনে বাংলাদেশেও হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রামের একজন হোমিও চিকিৎসক ডা.রোকসানা আক্তার।

চট্টগ্রাম নগরের বন্দর নতুন মার্কেটে ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন আলো হোমিও হলের ডাক্তার রোকসানা আক্তার।করোনা সংক্রমণ দিনদিন বাড়ছে এতে পুরো জাতি উদ্বিগ্ন। এমন ঝুঁকির মধ্যেও থেমে নেই তার সেবা কার্যক্রম। ডাক্তার রোকসানা আক্তার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (বিএইচএমএস) বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে পাস করেন।

করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্যোগের এ মুহুর্তে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় ডাক্তার রোকসানা আক্তার গর্ববতী মা,শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি।বর্তমানে চট্রগ্রাম নগরীর পি. সি.রোডে অবস্থিত ৯৯,বন্দর নতুন মার্কেটে আলো হোমিও হল চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখেন.ডাক্তার রোকসানা আক্তার ডি.এইচ.এম.এস (হো:মেডিসিন) বি.এইচ.বি (ঢাকা) হোমিও চিকিৎসক গভ: রেজি নং-১৮৭৯৩।

ডাক্তার রোকসানা আক্তার সিটি নিউজকে বলেন,দেশের সেবায় ও মানুষের সেবায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের এমন মহাসংকটকালে সংগ্রামী পেশার মানুষ হিসেবে পালিয়ে থাকলে রক্ষা পাওয়া যাবে না। পুরো পৃথিবী করোনা ভাইরাস নামের অদৃশ্য শত্রু সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। এ যুদ্ধে আমাদের দেশকে জয়ী হতে হবে।এলোপ্যাথির পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে আমাদেরকেও কভিড-১৯ চিকিৎসার সুযোগ করে দেয়া হোক। আমাদেরকে এই সুযোগ দেয়া হলে আমরা প্রমাণ করতে সমর্থ হবো কভিড-১৯ এ হোমিওপ্যাথি কতটা কার্যকর।

তিনি পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা জানিয়েছেন।আমি ছােট পরিবারের একজন সদস্য।আমার স্বামী মোহাম্মদ ইউনুস বন্দর নতুন মার্কেট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত।সে প্রতিনিয়ত আমাকে সাহস যুগিয়েছে করোনা সংকটময় পরিস্থিতিতে।করোনাকে ভয় না করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমার পরিবার।বর্তমানে স্বামীসহ এক মেয়ে এক ছেলের ছোট্ট সংসার নিয়ে সকলের দোয়ায় সুস্থ ও নিরাপদে আছেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতের আয়ুষ মন্ত্রক এবং ভারত সরকার অধীনত, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) আগ্রার নইমিনাথ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই ট্রায়ালে বড়সড় সাফল্য মিলেছে এবং অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী আরোগ্যলাভ করছে। পাঁচটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ- আর্সেনিক অ্যালবাম, ব্র্যায়নিয়া অ্যালবা, এনটিম টার্ট, জেলসেমিয়াম এবং ক্রোটেলাস এইচ- করোনারোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। উল্লেখযোগ্য, এর মধ্যে তিনটি ওষুধ কার্যকরী, যার মধ্যে ব্র্যায়নিয়া অ্যালবা অন্যতম।

জি.এস / চট্টগ্রাম,সিটি নিউজ

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.