বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও চট্টগ্রাম বিভাগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবীতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ভূক্তভোগীরা। বন্দরের প্রধান ফটকে বন্দরের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভুক্তভোগীরা চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় ও চট্টগ্রাম বিভাগকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করে তারা। এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানলে তারা বন্দর ভবন ঘেরাও করবেন বলে জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভুক্তভোগীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারিতে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১০ জন, ওয়েল্ডার কাম গ্যাস-কার্টার পদ একজন, লাইব্রেরিয়ান পদে একজন, ইনল্যান্ড মাস্টার (তৃতীয় শ্রেণি) পদে দুজন, নিম্নমান বহিঃসহকারী পদে ৪১৬ জন, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বা সহঃ সময়রক্ষক পদে ১২১ জন, জুনিয়র স্টোরম্যান পদে ২৮ জন, মিটার রিডার পদে দুজন, স্টুয়ার্ড (চিকিৎসা বিভাগ) পদে একজন, স্টুয়ার্ড (বন্দর বিশ্রামাগার) পদে একজন, ডাকরুম সহকারী (চিকিৎসা বিভাগ) পদে একজন, অটো মেকানিক (গ্রেড-২) পদে সাতজন, গজ রিডার পদে তিনজন, ভেকসিনেটর বা টিকাদানকারী পদে একজন, সহকারী ফায়ার ব্রিগেড ইনস্পেক্টর পদে তিনজন, সহকারী খানসামা বা কুক পদে একজন, এসএসআরএস খালাসি পদে পাঁচজন, হেল্পার পদে ১৬ জন এবং ফায়ার ফাইটার পদে ৪৬ জনসহ মোট ৬৬৬ জনকে এই নিয়োগের আহ্বান করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরি প্রার্থীদের এসব পদে এত বেশি আবেদন জমা পড়েছিল যা যাচাই-বাছাই করতে চট্টগ্রাম বন্দরকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রায় ২৩ হাজার পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এর আগে সবগুলো নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল চট্টগ্রামকেন্দ্রিক হলেও সেইবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের বাইরে অর্থাৎ ঢাকায় গিয়ে এই পদের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল প্রার্থীদের।
এ বিজ্ঞপ্তির লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয় ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর। এতে উত্তীর্ণ হয় ৮৯০ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছেন। কিন্তু গত প্রায় তিন বছরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। নিয়োগ বাণিজ্যের অনৈতিক লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায় এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।