ভারতে বাবরি মসজিদ মামলায় সব আসামি খালাস
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছে লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।
আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অযোধ্যার শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ২৮ বছর পরে এ রায় ঘোষণা করলো আদালত। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বিজেপির অনেক সিনিয়র নেতা ওই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় মোট ৪৯ জনকে অভিযুক্ত করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিলো।
অভিযুক্তদের মধ্যে ১৭ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। বেঁচে আছে ৩২ জন। ওই মামলায় উল্লেখযোগ্য অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির সিনিয়র নেতা এলকে আদভানি, মুরালি মনোহর যোশী, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপির ফায়ার ব্র্যান্ড নেত্রী উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ারের মতো নেতাও।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তৎকালীন নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানীর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে দফায় দফায় রথযাত্রা হয়। এই রথযাত্রা থেকে ষোড়শ শতাব্দীর অন্যতম এই মুসলিম স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। কট্টরপন্থী করসেবকরা মসজিড় গুঁড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পরপর দেশটিতে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। এতে প্রাণ যায় প্রায় ৩ হাজার মানুষের।
উত্তরপ্রদেশের এই মসজিদ ধ্বংস বদলে দেয় ভারতের রাজনীতি। মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও শীর্ষ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানী, মুরালি মনোহর যোশী, সাবেক মন্ত্রী উমা ভারতী ও কল্যাণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব আসামি খালাসের যে ৫ কারণ উল্লেখ করেন তা হচ্ছেঃ-
১. বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত ছিলো না’।
২. আসামিদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাব
৩. কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই যেসব অডিও এবং ভিডিও আদালতে জমা দিয়েছে, সেসবের সত্যতা প্রমাণ করা যায়নি।
৪. বাবরি মসজিদ ভাঙতে যাওয়া সমাজবিরোধীদের বাধা দিতে গিয়েছিলেন আসামিরা
৫. আসামিরা মসজিদ ভাঙার সময় যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।