চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মুখ থেকে শিশুপার্ক অপসারণের দাবী

জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার মানববন্ধন

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন স্থান চট্টগ্রাম পুরানো সার্কিট হাউসের আঙ্গিনা থেকে শিশু পার্ক নামক জঞ্জাল অপসারণের দাবীতে জাগ্রত ছাত্রযুব জনতার উদ্যোগে এক মানববন্ধন সংগঠনের আহবায়ক এ.এস.এম.জাহিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ রকিবুল আলম সাজ্জী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে উক্ত মানববন্ধনে ছাত্র-যুবক-রাজনীতিক-সামাজিক-কবি-শিল্পী সাহিত্যিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে দাবীর প্রতি তাদের স্বত:স্ফুর্ত সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। সভায় মহানগর যবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক বিপ্লবী উদ্যান। এই পবিত্র ভূমিতে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। এটি চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যের স্মারক। আগামীর প্রজন্মের জন্য এটি ঐতিহাসিক বার্তা প্রেরন করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে কিন্তু আমাদের গর্বের এই জায়গা আজ অর্থলোভীদের করাল গ্রাসে জিম্মি। আমরা এই উদ্যান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক হিসেবে মুক্তভাবে পেতে চাই। যারা এই প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করছে তাদের উদ্যত কালো হাত ভেঙ্গে দিতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম। অনতি বিলম্বে এই সবুজ চট্টগ্রাম বিরোধী উদ্যান সহ চট্টগ্রামে সকল জাতীয় স্থাপনা এবং মাঠগুলোতে বাণিজ্যকরন বন্ধ করতে হবে।

নয়তো জাগ্রত যুব জনতার উদ্যেগে আমরা কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবী বাস্তবায়ন করবো দৃষ্টিকটু এই শিশু পার্ক রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থাপনার পবিত্রতা যেমন ম্লান করেছে তেমনি পবিত্রতা হারাচ্ছে আমাদের মহান স্বাধীনতার স্মৃতি। আলকরণ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম বলেন, শঙ্খা রয়েছে যে, পার্কে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা সার্কিট হাউস ও পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু লক্ষ্য করে নাশকতা ঘটাতে পারে। তিনি এ সার্কিট হাউসটি কেবল বাংলাদেশের অনন্য ঐতিহ্য নয়, এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অত্যাধুনিক স্থাপত্য বলেও মন্তব্য করেন।

লালখান বাজার ওয়র্ডের আওয়ামীলীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী রাজনীতিবিদ আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন, মুক্তবুদ্ধি ও সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আইন করে সকল মাঠের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সংরক্ষণ করার জোর দাবী জানাচ্ছি। যাতে করে তারা একটি পরিবেশ বান্ধব ও বাসযোগ্য নগরী পায়। জাগ্রত ছাত্রযুব জনতার আহবায়ক এ.এস.এম জাহিদ হোসেন বলেন, ইজারা চুক্তির ২৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি পরিবেশবাদীসহ চট্টগ্রামের নাগরিকরা এই চুক্তি পু:ন নবায়ন না করার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। এতকিছুর পরও কারো মতামতে কর্ণপাত না করে আবারও মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা কোন মতেই কাম্য ছিল না।

সদস্য সচিব মো. রকিবুল আলম সাজ্জী চসিকের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, আপনি ব্যক্তিগতভাবে অবগত আছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চের আলোচনা বন্ধ করার জন্য শিশু পার্ক নামক এই জঞ্জাল সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। এখন সময় এসেছে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় এই জঞ্জাল সরিয়ে ফেলার। তিনি চসিক প্রশাসকের সম্প্রতি অবৈধ উ”েছদকে সাধুবাদ জানান এবং বিপ্লব উদ্যান অবমুক্ত করতে গিয়ে স্বার্থন্বেষী মহল থেকে আইনী নোটিশ প্রদানের তীব্র নিন্দা জানান।

মানববন্ধনে মহানগর যুবলীগ সদস্য কাজী রাজেশ ইমরান, সাবেক ছাত্রনেতা এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, সমির মহাজন লিটন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, সৈয়দ শওকত জামান, মোহাম্মদ জামশেদ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, অনির্বান দাশ বাবু, মোহাম্মদ ওয়াসিম, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, সহিদুল আলম লিটন,মনিরুল হক মুন্না, আরাফাত রুবেল,আকবর হোসেন রাজন, ইসলামী কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ইবনে জামান ডায়মন্ড, মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম বাবু, আবদুল মালেক, অভি শীল, মোশারফ হোসেন ফয়সাল, মিজানুর রহমান মিজান, আবদুর রহিম আকাশ, মোহাম্মদ আবির, রিয়েল দত্ত, মুতাজ সিকদার, সৌমিত দে, ইয়াছিন আরাফাত, রকি মহাজন, তাহসিন, সাগর, রাব্বি, কামরুল, তৌকির আহমেদ প্রমূখ উপ ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.