প্রাথমিকের ৭ হাজার শিক্ষক পদোন্নতি পাচ্ছেন

0

শিক্ষাঙ্গণ : ছয় বছর মামলায় লড়ে পদোন্নতি পাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষক। মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল প্রধান শিক্ষক পদে এসব সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দীর্ঘ দিন আটকে থাকা এসব শিক্ষককে পদোন্নতির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে।

এর ফলে রাজস্বখাতে নিয়োগকৃত সহকারী শিক্ষকরা জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন খাতে উপজেলাভিত্তিক সাত হাজার ১৮৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পান। ১৯৯১ সালে উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর এবং ২০০৮ সালে নিয়মিত হলেও একটি অধ্যাদেশের কারণে তাদের পদোন্নতি বন্ধ থাকে।

অথচ সাত বছর চাকরির পর সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেন। পদোন্নতি না হওয়ায় এ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।

ভুক্তভোগীদের একজন কুমিল্লার ধান্যদুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হক বলেন, ১৯৯৫ সালে সরকার এক আদেশে এসব শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা ২০০৯ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১৪ সালের শেষ দিকে হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। মন্ত্রণালয় রায়ের বিপরীতে আপিল করলেও শিক্ষকদের পক্ষেই তা বহাল থাকে।

হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের রায় শিক্ষকদের পক্ষে গেলে মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা বুধবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক বলেন, এ আদেশের ফলে এসব শিক্ষক এখন প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।

১৯৮৫-১৯৯০ সাল পর্যন্ত এসব শিক্ষকের যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করে পদোন্নতি হবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.