সুজন জনগণের কাছে অদম্য সাহসীঃ অপরাধীর কাছে আতংক

0

জুবায়ের সিদ্দিকী, সিটি নিউজঃ  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন নগরীতে এখন সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে তাঁর ভূমিকায় এবং অবৈধভাবে ফুটপাতে দোকানসহ সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখলমুক্ত করতে, কিছু কিছু ওয়ার্ডে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অসম্পূর্ণ থাকায় জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে কর্পোরেশনের প্রকৌশলী পাঠিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করার নির্দেশনা দিয়ে প্রশংসীত হয়েছেন।

এভাবে নগরভবনের কার্যালয়কে একটি সিস্টেমে নিয়ে আসারও চেষ্টা করছেন। সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে পরিচ্ছন্ন বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্টেট বিভাগ ও রাজস্ব বিভাগের অনিয়ম, গাফিলতি, উদাসিনতাসহ নানা সমস্যা খুব অল্প সময়ে চিহ্নিত করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

১৮০ দিনের জন্য প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়া সুজন ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত সাধাসিধে জীবনযাপন ও ধর্মভীরু  মানুষ। ছাত্রজীবন থেকে ছিলেন প্রতিবাদী। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলেন সক্রিয়। ‍পুলিশী নির্যাতনকে এড়াতে আন্দোলনের কৌশল হিসেবে রাজপথে অবস্থানের সময় রাস্তায় জোহরের নামাজ জামাতে আদায়ও করেছেন।

বিএনপি-জোট সরকারের আমলে এখনকার অনেক শীর্ষ নেতা ও গডফাদার পালিয়ে বেড়িয়েছেন। কখনো ড্রইং রুমের রাজনীতি করেছেন। সুজন তখন রাজপথে। সাহসী যোদ্ধা ছিলেন সুজন। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে রাজনৈতিক মহলে সুপরিচিত। সরকার পরিবর্তন হলেও নির্যাতন, জুলুম, হামলা, মামলা কোন কিছুই তাকে ঘরে আটকিয়ে বা ফেরারি হতে হয়নি। ছিলেন সক্রিয় রাজপথে।

একাধিকবার সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন দল থেকে। একবার তাকে দিয়ে আবার মধ্যরাতে প্রত্যাহার করে অন্যজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বার বার তিনি হোঁচট খেয়েছেন। “ভাত দিয়ে ভাতের প্লেইট” তার সামনে থেকে সরিয়ে ফেলার মতো রাজনীতির দাবাখেলায় তিনি কখনো পরাজিত হলেও রাজনীতির মাঠ ছাড়েননি।

রাজনীতির পথচলায় সুজনকে কেউ মন্দ বলার সুযোগ পাননি। কারণ তার হাতে যেমন রক্তের কোন দাগ নেই, ক্যাডার বাহিনী লালন পালনের অভিযোগ নেই। দুর্নীতি ও অনিয়মের কোন ছোঁয়া লাগেনি। ক্লিন ইমেজের এই রাজনীতিবিদ স্পষ্টভাষী ও সাহসী হওয়াতে খুব স্বল্প সময়ে জনগণের কাছাকাছি যেতে পেরেছেন।

চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোড বিগত ৫ বছর সংস্কার করতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন। প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই এই রাস্তার কাজ শুরু করে এক পাশের রাস্তা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এলাকাবাসী এজন্য তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সিটি কর্পোরেশেনের অভ্যন্তরে অনিয়মকে একটি গতিশীল প্রক্রিয়াতে নিয়ে  আসতে তার শ্রম, মেধা, মননকে নগরবাসী  শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অন্যায়, অনিয়ম ও অবহেলিত নগরবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাগবে তার এই প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগের হাইকমাণ্ডও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সুজন পুলিশ প্রটোকল ও জনবল নিয়ে চলাফেরা না করে স্কুইটি (মোটর সাইকেল) চালিয়ে একাই নগর চষে বেড়ান। পাড়া-মহল্লা, রাজপথ-অলিগলি সর্বত্র ঘুরে বেড়ান সমস্যা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষন করেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির শিখড় ধরে যখন টান দেন তখন অনেকেই বলেন, উনারতো এসব দেখার বিষয় না। তিনি রুটিন মাফিক দায়িত্ব পালন করবেন। আঁতে ঘা লাগলেই তিনি ভালো না।

সুজনের এই চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দুর্নীতি ও অনিয়ম চিহ্নিত হওয়াতে খোদ আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা নাখোশ”। “থলের বিড়াল বের হয়ে আসতে পারে” এই আশঙ্কায় বলছেন, “সুজনভাই এইল্লা ক্যা গরের। ইবা তার কাম’ ন”। খুব অল্প সময় হাতে থাকলেও নগরবাসীকে সেবা দিতে তার এই আন্তরিকতাকে সুবিধাবাদীরা প্রছন্দ না করলেও নগরীর সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করছেন। জনগণের কাছে সুজন অদম্য সাহসী- অপরাধীর কাছে আতংক হিসেবেই পরিচিত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.