অনলাইন ক্লাসের চর্চা ধরে রাখতে হবে: ইউজিসি সদস্য ড. সাজ্জাদ
সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, মহামারীর সাধারণ ছুটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। জাতির জনকের সুযোগ্য তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তার সবচেয়ে বড় সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষাখাত। মহামারীকালীন সাধারণ ছুটিতে অনলাইন ক্লাসের সর্বোচ্চ ব্যবহারই এর প্রমাণ।ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন এ শিক্ষাবিদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে এসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তাকে সংবর্ধনা জানাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও শিক্ষার স্রোত অব্যাহত রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সরাসরি ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইনের এই চর্চা ধরে রাখতে হবে এবং এ লক্ষ্যে ইউজিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ইডিইউ যে প্রক্রিয়ায় অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তা প্রশংসাযোগ্য।
প্রধান বক্তা ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ইউজিসি। নতুন বিভাগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হলে সারাদেশে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হবে। এক্ষেত্রে নীতিমালা গ্রহণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মান অনুসারে শ্রেণীবিভক্ত করা যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের আর্থিক দিক বিবেচনায় ছাড়-কিস্তির মতো সুবিধা প্রদান করেছি আমরা। পাশাপাশি ৩০ জিবি ইন্টারনেট ডাটা বান্ডেল বিনামূল্যে সরবরাহ করেছি, যাতে অনলাইন ক্লাস নির্বিঘ্ন হয়। শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ প্রত্যেককে নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণাঙ্গ বেতন-বোনাস দিয়ে পাশে থেকেছি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে, সবাইকে সাথে নিয়ে এ দুঃসময়কে জয়ের চেষ্টা করেছি আমরা।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য মু. সিকান্দার খান বলেন, মহামারীতে অনলাইন ক্লাসের অনুমতি প্রদান করে যুগোপযোগী ভূমিকা রেখেছে ইউজিসি। এতে বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম স্থবিরতা ও পিছিয়ে পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এসময় বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন বলেন, ইউজিসির ধারাবাহিক কার্যক্রমে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের উদ্ভাবনী নেতৃত্বে বেশ কিছু নতুনত্ব ও পরিবর্তন এসেছে, যার সুফল সবচেয়ে বেশি পাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
এছাড়া এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ইডিইউর স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. নাজিম উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. রকিবুল কবির প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি