চসিক নির্বাচন : অটোপাসরা হতাশ

0

জুবায়ের সিদ্দিকী/ গোলাম সরওয়ার : সামনে চসিক নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন প্রার্থীরা। নগর আওয়ামী লীগের ১২৯টি ইউনিটে সাংগঠনিক শক্তিশালী করতে কাজ করছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। অন্যদিকে নগর আওয়ামী লীগের আগামী দিনের কমিটিতে কে হচ্ছেন সভাপতি- সাধারন সম্পাদক এই নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে তুনমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে। যদিও চসিক নির্বাচনের আগে নগর কমিটি হচ্ছে না। তারপরও পদ-পদবী পেতে বসে নেই নেতারা। চসিক নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও তার অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও ভোটারদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই।

আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী সকল কর্মসুচীতে অংশ নিচ্ছেন। তবে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাৎ হোসেন দলীয় কর্মসুচীতে থাকলেও তাদের মধ্যে চসিক নির্বাচন নিয়ে কোন তোড়জোড নেই। নগরীরে কোন ওয়ার্ডেই বিএনপির প্রার্থীরা এখনও ভোটারদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেননি। এদিকে গতবারের অটোপাস কাউন্সিলররা এবারও অটোপাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই দেখে হতাশ। ভোটের আগের রাতে ব্যালটবক্স ভর্তি, সকালে ১ ঘন্টার মধ্যে ভোটগ্রহন শেষ, পেশী শক্তির মহড়া নানা অনিয়মে গতবারের চসিক নির্বাচন হলেও এবার ভীন্নতা ও নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত পেয়ে সুযোগসন্ধানীরা চুপসে গেছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে কাউন্সিলর প্রার্থীরা আবার নতুন করে পোস্টার, লিফলেট, ফেষ্টুন, ব্যানার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মজার বিষয় হচ্ছে, নগর আওয়ামী লীগের আগামী কমিটিতে সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক সহ সম্পাদকমন্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, হওয়ার সম্ভাবনায় চেষ্টার তদবিরে আছেন এমন নেতারা পছন্দের কাউন্সিলর প্রার্থীদের অথবা কোন কোন ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে অর্থযোগান, উপহার সামগ্রী বিতরনের জন্য প্রদান করছেন। উদ্দেশ্য, আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডকে খুশি করা, কর্মীবাহিনীকে নিজের কাছে টেনে আনা এবং ’অমুক আমার টাকায় কাউন্সিলর হয়েছে-এই ফুটানী প্রকাশ করা। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের একজন ভোটার ও স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, ’ফইন্নির পোয়া নেতা হইয়্যে, মাইস্যরে মানুষ বলি ন’কয়। দল ক্ষমতায় আছে বলি, ক্ষমতা’তুন গেলে তারার খবর আছে।

টাঙ্গাইলের বাসিন্দা নেওয়ামত আলী থাকেন নগরীর চকবাজার এলাকায়। মেয়র ও কাউন্সিলর বলেছিল, জলাবদ্ধতা থাকবে না। তাদের এসব কথাবার্তা কাজে আসেনি। ঝাউতলার বিহারী কলোনীর বাসিন্দা হাসান খাঁন বলেন,’ ক্যায়া বলেগা, দুনিয়াবি সার্কাস হ্যায়। চিটিং-বাটপারকা জিন্দেগী চলতা হ্যায়। চুরি, মদ, গাঁজা চলতা হ্যায়। গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করেন প্রনব দাশ।। আগ্রাবাদে ফার্নিচার দোকান আছে। নগরীতে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ও চসিক নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ’আমরা ছাপোষা মানুষ। কি বলব আপনাকে, কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আর আমাদের চেনে না। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিযোগিতায় নামেন। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়, এলাকার কোন উন্নয়ন হয় না। চসিক নির্বাচন এ কারনে মানুষের কাছে কোন আগ্রহ বা উৎসাহ নেই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.