যুবলীগ ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায়

0

জুবায়ের সিদ্দিকী, সিটি নিউজঃ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার কাজে যাতে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করা যায় সে জন্য জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং শেখ ফজলুল হক মনির বলিষ্ট নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তার যাত্রা শুরু করে।

স্বাধীন দেশ গড়ার পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষা এবং গণ আন্দোলনে যুবলীগের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নামকরা কয়েকটি ক্লাবে র‌্যাবের অভিযানের পর পাল্টে যায় সব হিসাব নিকাশ। ক্যাসিনো কান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে যুবলীগের দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও ‍যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর অর্থ পাচার, জাল টাকা সরবরাহসহ বহু অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় যুবলীগ নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

এসব অপকর্মের দায় নিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সরে যেতে হয়। এসব ঘটনায় যুবলীগের ভাবমূর্তি ভিষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুবলীগের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির জ্যোষ্ঠ পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশকে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।

সরকারের টানা তিন মেয়াদের সময়ে যুবলীগ কতোটা তাদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। যুবলীগ কি ঘুরে দাড়াচ্ছে? এটাই এখন নেতাকর্মীদের কাছেও ঘুরপাক খাচ্ছে।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেন। করোনা ভাইরাস ও বন্যাসহ বিভিন্ন মানবিক কাজে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

পাশাপাশি সংগঠনের পদ প্রত্যাশী নেতাদের অপেক্ষার প্রহরও শেষ হচ্ছে না। পদ-পদবী ও সাংগঠনিক কোন কাজ না থাকলেও প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা ভিড় করেন। প্রায় এক বছরেও যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। বিতর্কিত কোন নেতা যেন কোনভাবেই যুবলীগে জায়গা না পায় সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরই তৃণমূল পর্যায়ে পর্যন্ত সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.