শওকত আলীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা এ সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রপতি শোকবার্তায় বলেন, মরহুম শওকত আলী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আজীবন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন।

তিনি একজন সামরিক অফিসার হওয়া সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তা অতুলনীয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা এবং সমাজসেবক হারালো। তিনি বলেন, মরহুম শওকত আলীর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শোসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামি করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একসঙ্গে কারাবাস করার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান জাতি সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশ এক প্রবীণ জননেতাকে হারাল, আমি হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে সোমবার সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কর্নেল (অব.) শওকত আলী।

গত ২৯ অক্টোবর কিডনি, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) ভর্তি হন। বেশ কয়েক দিন ধরে তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল শওকত আলী শরীয়তপুর-২ আসন থেকে ৫ পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যার জনক।

পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়েছিল, তাতে শওকত আলীকেও আসামি করা হয়। তিনি মুক্তিসংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.