বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিষয়ে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ড. মহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, ভাস্কর্য ভাঙায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ঘটনায় পুরো দেশ যেমন ব্যথিত হয়েছে, আমরাও তাই। এর পেছনে কোন লিংকেজ আছে কিনা তা তদন্ত করে বের করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিআইজি বলেন, রাত ২টা ১৬ মিনিটে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত দুই মাদ্রাসাছাত্র পায়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যস্থলে আসেন। কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যের গা ঘেষে থাকা মই বেয়ে উপরে ওঠেন। পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর হাতে আঘাত করে। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হাত ও পরে মুখের অংশে ভাঙচুর করে। প্রায় ৯ মিনিট পর একই মই দিয়ে নেমে পায়ে হেঁটে চলে যান তারা। পুলিশ ওই দুইজন মাদ্রাসাছাত্রসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রথমে দুই ভাই মাদ্রাসাছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা ভিডিও দেখে ভাস্কর্য ভাঙা দুইজনকে চিনতে পারেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গেল রাতভর অভিযান চালিয়ে ভারত সীমান্তের দৌলতপুরের ফিলিপনগর গোলাবাড়ি নিজ গ্রাম থেকে সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর থেকে সমসের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুনকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, এরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। পরবর্তিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক তাদেরকে পালাতে ও সাহস জুগিয়ে সহযোগিতা করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক আল আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলীকে (২৬) গ্রেপ্তার করে।

আল আমিন মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও ইউসুফ আলী পাবনা জেলার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.