ঘুষ গ্রহণকারী সেই শহিদুলকে প্রত্যাহার

0

অর্থবাণিজ্য ডেস্ক : ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতরের (সিসিআইই) নিয়ন্ত্রক (ঢাকা বিভাগ) মো. শহিদুল হককে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে শহিদুল হকের ঘুষ লেনদেনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। গোপনে ধারণ করা তার দরকষাকষি করে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওচিত্রও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাকে প্রত্যাহারের এই আদেশ জারি করে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতরের নিয়ন্ত্রক বিসিএস (ট্রেড) ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. শহিদুল হককে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হল। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

এদিকে ইতোমধ্যে বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সদর আলী বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সদর আলী বিশ্বাস বলেন, ‘শহিদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

কবে নাগাদ এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের তদন্ত কার্যক্রম বেশ সময় সাপেক্ষ। তাই কিছু সময় প্রয়োজন। আশা করছি, শিগগিরই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেব।’

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দর-কষাকষি করছেন, গুনে গুনে টাকা বুঝে নিচ্ছেন। হাসতে হাসতে সেই টাকা আবার নিজের প্যান্টের পকেটে পুরছেন। শহিদুল হকের এ সব কর্মকাণ্ড নিয়ে করা গোপন ভিডিওচিত্রসহ সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। অভিযোগ আমলে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে গেলে সিসিআইই থেকে আমদানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) নিতে হয়। বিদেশে কোনো কিছু রফতানি করতে গেলেও এই দফতর থেকে নিতে হয় রফতানি নিবন্ধন সনদ (ইআরসি)। এই দুই সনদের ক্ষেত্রেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ঘুষ ছাড়া তার কাছ থেকে কেউ কোনো সনদ নিতে পারেন না বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণায়ে অভিযোগ করা হয়েছে।

আমদানি-রফতানির পরিমাণের ভিত্তিতে আইআরসি ও ইআরসির মাশুল (ফি) নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে সনদের জন্য নগদ টাকা লেনদেনের সুযোগ নেই। তবে শহিদুল হকের বিরুদ্ধে নগদ টাকা লেনদেন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.