অবশেষে চলে গেলেন তারেক সোলায়মান সেলিম

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর, সাবেক রাজপথ কাপানো ছাত্রনেতা ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা তারেক সোলাইমান সেলিম আর নেই। অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হার মেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘদিন ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় কলকাতার টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহ…রাজেউন)। তার ভাই তারেক ইমতিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রয়াতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছরের জুনে তারেক সোলেমান সেলিমের শরীরে বোন ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়ার পর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল ও ডেলটা হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থেকেও শারীরিক আবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে কলকাতার টাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন এককালের ডাকসাইটে এই ছাত্রনেতা।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী তারেক সোলেমান সেলিম ১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে চসিকের আলকরন ওয়ার্ড থেকে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০০০ ও ২০০৫ এবং ২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন একই ওয়ার্ড থেকে। তবে ২০১০ সালে নির্বাচন করেননি তিনি।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর কিশাের বয়সেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছিলেন তিনি।৷ স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন ও ১/১১ এর সময় সামনের সারির সৈনিক ছিলেন।

১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় আলকরণ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পুনর্গঠন করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে সরকারি সিটি কলেজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্যের দায়িত্বও পালন করেন।

২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একের পর এক মামলা। একই সময়ে তার উপর একাধিকবার প্রাণঘাতি হামলাও করা হয়। ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের নির্মম ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গিয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতার হন তিনি।

আওয়ামী লীগের দুর্দিন-দুঃসময়ের এই কান্ডারীকে চলতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন দেয়া হয়নি। এরপরও তৃণমূলের নেতাকরর্মীদের অনুরোধে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচনে লড়ছিলেন। কিন্তু ভোটের আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন।

সিটি নিউজ/ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.