স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থীদের অপরাধ
সিটি নিউজঃ স্বতন্ত্র বলেন আর বিদ্রোহী বলেন, ওরা সবাই আওয়ামী লীগ নেতা। দলের দু:সময়ে তাদের অবদান কম নয়। বিগত জীবনে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার জেল খেটেছেন। মামলা-হামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এলাকার ভোটার ও জনসাধারণের কাছে তাদের বেশ গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। কারন তারা সদ্য সাবেক কাউন্সিলর। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করছেন এলাকায়।
অনুষ্ঠিতব্য চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তারা স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তাদের পক্ষে আছে তৃনমুল আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। এটাই তাদের অপরাধ। এ অপরাধে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকের বাড়িঘরে পুলিশ পাঠানো, রাস্তায় নামতে না দেওয়া, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, গনসংযোগে বাঁধাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মীদের বাড়িঘরেও যাচ্ছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। কিন্তু ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টিতে স্বতন্ত্র বা ’বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। কয়েকটি ওয়ার্ডে আছে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কয়েকটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ১১জন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর বেশ আলোচনায় আছেন। তারা হলেন, ১১নং দক্ষিণ পাহাড়তলীর তৌফিক আহমদ চৌধুরী, ৯নং উত্তর পাহাড়তলীর জহুরুল আলম জসিম, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের সাহেদ ইকবাল বাবু, ১০ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ১৪নং লালখান বাজারে এফ কবির মানিক, ২৫নং রামপুরা ওয়ার্ডের এস এম এরশাদ উল্লাহ, ২৭নং দক্ষিন আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের এইচ এম সোহেল, ২৮ নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আব্দুল কাদের ও ৩৩ নং ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের হাসান মুরাদ বিপ্লব।
জানা গেছে, মনোনয়ন বঞ্চিত এসব সদ্য সাবেক কাউন্সিলর এক সময়ের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা’। একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী সিটিনিউজ কে বলেন, সুষ্ঠ সুন্দরভাবে ভোটের মাধ্যমে আমাদের জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করা হোক। ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে বাইরে রাখার চিন্তা দলের জন্য ক্ষতিকর হবে।
তাদের মতে, আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেককে এলাকার লোকজন চেনেন না। এটাই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উজ্জীবিত হবার কারন।
সিটি নিউজ/জস