একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য ভূমিকা ছিল চট্টগ্রামের

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা ছিল চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের।  বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৭১ এর মার্চ মাসে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ নগরীর দামপাড়ায় জহুর আহমদ চৌধুরীর বাস ভবন, ষ্টেশন রোডের রেষ্ট হাউস (মোটেল সৈকত), আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপির ফিরিঙ্গি বাজার বাসভবন “জুপিটার হাউস”, এম আর সিদ্দিকীর লালখাঁন বাজারের বাসভবন ছিল সংগ্রাম পরিষদের আলোচনার স্থান।

তবে অপারেশন হেড কোয়ার্টার ছিল ষ্টেশন রোডের রেষ্ট হাউস। ৭১ এর চট্টগ্রামে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, এম আর সিদ্দিকী, এম এ হান্নান, এম এ মান্নান, জহুর আহমদ চৌধুরী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু প্রমুখ। একাত্তরের দিনগুলো ছিল আওয়ামী লীগের এইসব নেতৃবৃন্দের জন্য ছিল কঠিন সময়ের।

আতাউর রহমান কায়সারসহ অনেকে তখন আন্দরকিল্লাহ্ আওয়ামী লীগ অফিসও ব্যবহার করেছেন। ২৫ শে মার্চ রাতে টিএন্ডটি বিভাগের একজন কর্মচারী জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রটি টেলিগ্রাম আকারে নিয়ে আসেন।

বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাপত্রটি বাংলায় অনুবাদসহ সাইক্লোস্টাইল করে বিলি করা হয়। চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও মফস্বলে বন্টনের ব্যবস্থা করেন আতাউর রহমান কায়সার।

শত্রুকে প্রতিরোধ করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করতে নগরীতে মাইকিং করেছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তৎকালীন সময়ে সংগ্রাম পরিষদের প্রচারণাসহ নেতাকর্মীদের খাওয়াসহ নানা খরচের টাকার জোগান দিয়েছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক নেতৃবর্গকে টাকা, গাড়ী ও লোকবল দিয়ে সহায়তা প্রদান করেছিলেন।

উত্তাল সেই মার্চে বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান করছিলেন, মেজর জিয়া, মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপটেন খালেকুজ্জামান, লেফটেন্যান্ট মাহফুজ, লেফটেন্যান্ট ওয়ালী, লেফটেন্যান্ট শমসের মবিন চৌধুরী।

সিটি নিউজ/জস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.