একটি মানসিক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি। ব্রিটিশ রাজপরিবারের কণিষ্ঠ পুত্র। প্রিন্সেস ডায়না ও প্রিন্স চার্লস এর ২য় পুত্র প্রিন্স হ্যারি। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ছেড়েছেন। ছেড়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সব পদবীও। এবার রাজকীয় বিলাসিতা বাদ। নেই বসে থাকার সুযোগ। জীবনকে গড়তে হবে নতুন ভাবে।
আর এই ভাবনা থেকেই এবার চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করা প্রিন্স হ্যারি। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসারের’ পদে বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এক বিবৃতিতে ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি নিজেই তার চাকরির খবর নিশ্চিত করেছেন; নতুন দায়িত্ব নিয়ে ‘খুব উৎফুল্ল’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
হ্যারি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তার নাম বেটারআপ। যদিও তার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কাজের সময় ও বেতনভাতা সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।
গত বছরের মার্চে হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। চলতি মাসে মার্কিন উপস্থাপক ওপরা উইনফ্রিকে এ দম্পতি বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে এ দম্পতি অভিযোগ করে বলেন, তাদের সন্তান আর্চির জন্মের আগেই রাজপরিবারের এক সদস্য হ্যারি-মেগানের অনাগত সন্তানের গায়ের রং কতটা কালো হতে পারে তা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল। রাজপরিবারের কোন সদস্য এ প্রশ্ন করেছিলেন তা খোলাসা করেননি তারা।
বাকিংহাম প্যালেস পরে এক বিবৃতিতে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্সের অভিযোগকে ‘উদ্বেগজনক’ অ্যাখ্যা দিয়ে নিজেরাই এটি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছিল।
নিজের চাকরির খবর জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, ‘নতুন কাজে তার লক্ষ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনাকে সামনে নিয়ে আসা, সহযোগী ও সহনশীল সম্প্রদায় বানানো এবং সৎ ও বিপদাপন্নদের কথোপকথনের পরিবেশ গড়ে তোলা।’
বেটারআপের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সি রবিশাক্স ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে (ডব্লিউএসজে) বলেছেন, নতুন দায়িত্বে হ্যারিকে কর্মী ব্যবস্থাপনার কাজ করতে হবে না কিংবা তিনি সরাসরি তাকে জবাবদিহি করবে এমন কোনো কর্মীও পাবেন না। সানফ্রান্সিসকোর সদরদপ্তর তার কাজের জন্য উপযুক্ত বলে মনে হলে, তিনি মাঝে মাঝে সেখানে সময় কাটাবেন।
কোম্পানিটির প্রথম ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ হিসেবে প্রিন্স হ্যারি পণ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও দাতব্য সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে মতামত দেবেন এবং জনসমক্ষে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার চালাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে, জানিয়েছে ডব্লিউএসজে।
বহুজাতিক কোম্পানিতে ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ পদটি বেশ বিরল। সাধারণত এটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায়।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘বেটারআপ’ মোবাইলভিত্তিক পেশাদার প্রশিক্ষণ, কাউন্সেলিং ও পরামর্শ দিয়ে আসছে। কোম্পানিটির ভাষ্যমতে, তাদের প্রায় দুই হাজার প্রশিক্ষক ৬৬টি দেশে ৪৯টি ভাষায় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সিটি নিউজ/ডিটি