সিটি নিউজ : নীরবে-নীভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রচার বিমূক সংগঠক মো. ইয়াছিন আরাফাত কচি। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি তিনি দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বেসরকারি কারা পরিদর্শক।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে মাঠে ছিলেন। নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখনো মাঠে আছেন।
তিনি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে ৩ হাজার ‘টু লিয়ার’ মাক্স প্রদান করেছেন।
![মুজিব আদর্শের সৈনিক ইয়াছিন আরাফাত কচি](https://ctnewsbd.com/wp-content/uploads/2021/03/IMG_20210325_181419-300x230.jpg)
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বেসরকারি কারা পরিদর্শক ও নগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত কচি বলেন, করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই মানুষের পাশে দাড়াঁনোর চেষ্টা করেছি। যেটি এখনো চলমান। ভবিষ্যতেও এ প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। পুলিশ যেহেতু সব সময় জনগণের সাথেই থাকে তাই তাদের সুরক্ষাটা জরুরী।
সাম্প্রতিক সময়ে ২৭ মার্চ বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ঘোষক নিয়ে সমাবেশ সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের আদি, আসল এবং একমাত্র সঠিক স্বাধীনতার ঘোষণা। যেটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন গণহত্যা শুরু করে তখন ধানমণ্ডির ৩২নং বাড়িতে শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
![মুজিব আদর্শের সৈনিক ইয়াছিন আরাফাত কচি](https://ctnewsbd.com/wp-content/uploads/2021/03/received_897034851081229-300x225.jpeg)
যেটার বাংলা তর্জমা হইলো, এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
অথচ আজ ইতিহাস বিকৃত করে বলা হয় স্বাধীনতার ঘোষক “ঠান্ডামাথার খুনি” কালো চশমা পরিহিত মেজর ক্ষমতালোভী জিয়াউর রহমানকে।
প্রকৃত ইতিহাস হইলো, মেজর জিয়া ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষেই ঘোষণা পত্রটি পুণঃপাঠ করেছিলো। জিয়াউর রহমানকে বড়জোর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের স্রেফ একজন পাঠক বলা যায়, ঘোষক একদমই নয়।
স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ঘোষক প্রসংঙ্গে সাবেক সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল সংসদে দাঁড়িয়ে সেদিন বলেন, মিষ্টার স্পিকার এইখানে অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন মিষ্টার স্পিকার চট্টগ্রাম রেডিও ষ্টেশন দশ কিলোওয়াটের রেডিও ষ্টেশন । চট্টগ্রামের রেডিও ষ্টেশনের ভাষণ ফেনীও ভালোমতন শোনে না ।
ইতিহাসটা ঠিকমতো পড়তে হবে । একই সময় সমগ্র বাংলাদেশ বিস্ফোরিত হয়েছিলো সমগ্র উত্তরবঙ্গ বিস্ফোরিত হয়েছিলো । বরিশালের মেজর জলিল গর্জে উঠেছিলেন । গর্জে উঠেছিলেন খালেদ মোশাররফ । গর্জে উঠেছিলেন শফিউল্লাহ । গর্জে উঠেছিলো অন্যান্য প্রান্তের মানুষ । তারা কোন ভাষণটা শুনেছেন ?
উনাদের বুঝতে হবে সমগ্র বাংলাদেশ একসাথে ফেটে পরার পেছনে যে ব্যাক্তি যে ব্যাক্তির মোহনবাঁশি সমগ্র বাঙালিকে একত্রিত করেছে তার নাম উচ্চারণ ব্যাতিরেখে ক্রমাগত অশ্রদ্ধা এই জাতির অধঃপতন ডেকে এনেছে ।
নতুন প্রজন্মের মগজকে ইতিহাস বিকৃতকারীদের হাত থেকে রক্ষা করা না গেলে এই দেশ এবং জাতি দুনিয়ার বুকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাইতে পারবেনা বলে আমার বিশ্বাস । আমি রাজনীতি করি দেশ আর জাতির জন্য। সেই দেশ এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস ঐতিহ্য জানানোর জন্য ইতিহাস বিকৃতকারী বিএনপিকে রাজপথেই রুখে দিয়ে নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে দিবো “ঠান্ডামাথার খুনি” মেজর জিয়া ঘোষক নয় স্বাধীনতার ঘোষক কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
সিটি নিউজ/এসআরএস