সিটিনিউজবিডি : দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা মনে করেন, তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতের দেওয়া রায় একতরফা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তিনি আপিল করবেন। তার অভিযোগ, এই মামলায় ‘আইনের অস্বাভাবিক’ প্রয়োগ হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর আজ মঙ্গলবার দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে টেলিফোনে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। খোকা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারের চিকিৎসার নিচ্ছেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে টানা চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার তিন নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের কারদণ্ড দেন। আদালত। একই সঙ্গে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৭ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খোকার অবৈধভাবে অর্জিত সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৪ অক্টোবর মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানির পর রায় ঘোষণার এই তারিখ ধার্য করেছিল আদালত। এর আগে দুদকের পক্ষে আদালত ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১ জুলাই চার্জশিট দাখিল হয়। চার্জশিট দাখিলের পর মামলা বাতিলের জন্য সাদেক হোসেন খোকা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
এর আগে গত বছর ৩০ অক্টোবর বিএনপির এই নেতাকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকা দুই কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। তদন্তের পর নয় কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নয় কোটি ৬৪ লাখ তিন হাজার ৬০৯ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা এই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে সাদেক হোসেন খোকার করা আবেদনের কারণে দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতে বিচারকাজ স্থগিত ছিল।
মামলাটিতে খোকার স্ত্রী ইসমত আরাকেও আসামি করা হয়। তবে চার্জশিট দাখিলের আগে হাইকোর্ট তার অংশের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করায় ইসমত আরার অংশের তদন্ত স্থগিত রয়েছে।