গণজাগরণকে বিচারের আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0

সিটিনিউজবিডি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রকাশক, লেখক, ব্লগার হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইমরানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। ইমরানের সঙ্গে থাকা দলের অন্য চার সদস্য হলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ, উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জীবনানন্দ জয়ন্ত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে ডা. ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের প্রকাশক, লেখক ও ব্লগার হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। স্মারকলিপি জমা শেষে মিছিল সহকারে ফের শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন মঞ্চের কর্মী ও মিছিলে যোগ দেওয়া অন্যরা।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে গণজাগরণ মঞ্চের কফিন মিছিল শাহবাগ থেকে টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট ও জাতীয় প্রেসক্লাব পার হয়ে সচিবালয়ে ঢোকার রাস্তার মুখে তিন স্তরের ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। এরপর তারা সেখানেই অবস্থান নেন। এরপর ইমরানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।

যাওয়ার আগে ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা হয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তাতে অযাচিতভাবে বাধা দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ শুধু মুক্তমনা ব্লগার লেখক ও প্রকাশকদেরই নয়, পুলিশকেও হত্যা করা হচ্ছে। তা থেকে বাদ যাননি ইসলাম প্রচারক পীর-মাশায়েখরাও। যারাই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের মতবাদের বিরুদ্ধে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।’

পুলিশকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে দাবি করে ডা. ইমরান বলেন, ‘জঙ্গিদের বিষয়ে সরকারের প্রশ্রয় ও সহনশীলতা তাদের কর্মকাণ্ডকে প্রসারিত করছে। একই সঙ্গে সকল হত্যাকাণ্ডের পরে সেসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন দাবি করে সেই দায় চাপানো হয়। দায় এড়ানোর ও দায় চাপানোর এই প্রক্রিয়ার ফলে জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি প্রশাসনের ভেতরেও ভূত ঢুকেছে।’

মিছিলে রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপ্যাধায় ওরফে নীলয় নীল ও সর্বশেষ ফয়সাল আরেফীন দীপনের হত্যার প্রতিবাদে ছয়টি কফিন সাজানো হয়। এ ছাড়া ‘পরবর্তী টার্গেট কে’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

মিছিলে ‘মুক্তচিন্তায় হামলা, রুখে দাঁড়াও বাংলা’, ‘বাধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’, ‘বাধা এলে বাধবে লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘চলছে লড়াই চলবে, শাহবাগ জিতবে’, ‘একাত্তর স্মরণে ভয় করি না মরণে’ প্রভৃতি স্লোগানে চারপাশ মুখর করে তোলেন গণজাগরণের কর্মীরা।

এদিকে, একই দাবিতে গত মঙ্গলবার গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে সারা দেশে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়। আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করবে গণজাগরণ মঞ্চ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.