রাজন হত্যায় প্রধান আসামিসহ ৪ জনের ফাঁসি

0

সিটিনিউজবিডি : সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যায় প্রধান আসামি কামরুলসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জন উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কামরুল ইসলাম, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, তাজউদ্দিন আহমদ ওরফে বাদল ও জাকির হোসেন ওরফে পাবেল।গত ৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর হোসেন মৃধা রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ৮ জুলাই চুরির মিথ্যা অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় সবজি বিক্রেতা শিশু সামিউল রাজনকে। তার বাড়ি সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামে। তার লাশ গুম করার সময় স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে একজন। রাজনকে হত্যার পর তাকে নির্যাতন করার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ ঘটনায় ওই দিনই রাজনের বাবা শেখ আজিজুল আলম বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

রাজন হত্যায় পুলিশের বিরুদ্ধে আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগ ওঠে। জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম, এসআই জাকির হোসেন ও জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে ২৫ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ঘটনার ৩৮ দিন পর গত ১৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনের বিরুদ্ধে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য মুখ্য হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে কামরুলসহ দুজনকে পলাতক দেখানো হয়। গত ১৫ অক্টোবর কামরুলকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৮ অক্টোবর কামরুলের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে তার উপস্থিতিতে সব আসামির সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান। এর পর গত রোববার থেকে ১১ সাক্ষীর যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড পার্শ্ববর্তী শেখপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, তার তিন ভাই-মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আলম, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আয়াজ আলী, রুহুল আমীন, দুলাল আহমদ, তাজউদ্দিন আহমদ ওরফে বাদল, নির্যাতন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফিরোজ মিয়া, আজমতউল্লাহ, জাকির হোসেন ওরফে পাবেল ওরফে রাজু ও ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.