সিটিনিউজবিডি : নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাইকোর্টে জামিন আবেদন-সংক্রান্ত আদেশের দিন ১৬ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনে শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
গত ২ নভেম্বর এক আদেশে তিন মামলায় ফখরুলকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। ৩ নভেম্বর ফখরুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। বিচারিক আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়।
গত ২১ জুন পল্টন থানার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই তিন মামলায় তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়।
রাজধানীর পল্টন থানার তিন মামলায় গত ২১ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালত পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ফখরুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। সেই মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ পল্টন থানার ওই তিন মামলায় ছয় সপ্তাহের জামিন দেয়। এ জামিনের মেয়াদ শেষে মির্জা ফখরুলকে আবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এ আদেশের পর আইনগত বাধা না থাকায় ফখরুল কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
পরে তিনি চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর যান। এর মধ্যে ফখরুলের পক্ষে আবেদনের প্রেক্ষিতে আত্মসমর্পণের মেয়াদ দু’দফা বৃদ্ধি করে আপিল বিভাগ। তৃতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি না করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
চলতি বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনা ঘটে। ৬ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।