তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক :: আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন শুরু হয়েছে। রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রাহকদের জন্য কাস্টমার কেয়ার থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হচ্ছে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে কয়েকটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করবেন অপারেটররা। চলবে আগামী বছরের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ভুয়া পরিচয় এবং নিবন্ধন না করে সিম কিনে অপরাধীদের ব্যবহার ঠেকাতে গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এনআইডির তথ্যভাণ্ডারে গ্রাহক তথ্য থাকবে। পরবর্তীতে বিটিআরসির কাছে গ্রাহক তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর সচিবালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সিম নিবন্ধনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
গ্রাহকরা মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করে অথবা মোবাইল অপারেটরের ওয়েবসাইটে গিয়ে সিম নিবন্ধন সঠিক হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারবেন। ২০১২ সালের পর কেনা সিমের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তথ্য পাঠিয়ে তা যাচাই করতে পারবেন।
সিম নিবন্ধনের বিষয়টি যাচাইয়ের পদ্ধতি হলো- গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের গ্রাহকরা মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ, পুরো নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠিয়ে দেবেন। সিটিসেলের গ্রাহকরা মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে ইউ (U) লিখে স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ, পুরো নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠিয়ে দেবেন। ফিরতি এসএমএসে ধন্যবাদ জানিয়ে রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার কথা গ্রাহককে জানানো হবে। এসএমএস পাঠানোর জন্য মোবাইল অপারেটররা কোনো টাকা কাটবে না ।
২০১২ সালের আগে কেনা মোবাইল সিমের বিপরীতে বিভিন্ন তথ্য (জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বাবা মায়ের নাম ইত্যাদি) চেয়ে ১৫ অক্টোবর থেকে গ্রাহকের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট অপারেটর, যা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিমের নিবন্ধন করা না হলে ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে কোনো গ্রাহক যদি প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেন, তাহলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
১৮ বছরের নিচে কারো কাছে সিম বিক্রি করা যাবে না। সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য তাদের অভিভাবকদের (বাবা/মা) নামে নিবন্ধন করতে হবে।