বাঁশখালীতে কঠিন চীবর দানোৎসব

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি :   বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতি পরিচালিত বাঁশখালীর ৬টি বৌদ্ধ মন্দিরে কঠিন চীবর দানোসবের ২য় দিনে জলদী ধর্মরত্ন বিহারে এবং তৃতীয় দিনে শীলকূপ চৈত্য বিহারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কঠিন চীবর দানে প্রভাত ফেরি, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, পরলোকগত সংঘ পুরুষ ও জ্ঞাতিদের স্মরণে সংঘদান, কঠিন চীবর দানসভার উদ্ভোধন, আলোকসজ্জা, সমাবেত প্রার্থনা ও রাতে বুদ্ধকীর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ নভেম্বর জলদী ধর্মরত্ন বিহারে উপরোক্ত কর্মসূচী সহ মহান কঠিন চীবর দানোৎসব উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন, ড. জিনবোধি মহাথের।

জলদী ধর্মরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মপাল মহাস্থবিরের উদ্ভোধনী বক্তব্য ও বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির মহাসচিব সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোক, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল দাশ, পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রেহানা আক্তার কাজেমী, অনুষ্ঠানে ধর্মদেশনা এবং বক্তব্য রাখেন, ভদন্ত রাহুলপ্রিয় মহাস্থবির, তিলোকানন্দ মহাস্থবির, দেবমিত্র মহাস্থবির, নন্দবংশ স্থবির, সুমনপ্রিয় থের, সুগত রঞ্জন বড়ুযা, সুপলাল বড়ুয়া, দীপক বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় বক্তারা ধর্মীয় অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তিশৃংখলা ফিরিয়ে আনতে আরো বেশী ধর্ম চর্চা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে ১৮ নভেম্বর শীলকূপ চৈত্য বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব উপ-সংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ দেবমিত্র মহাস্থবির। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন, ড. জিনবোধি মহাথের, প্রধান আলোচক ছিলেন, ভদন্ত লোকপ্রিয় মহাথের, ভদন্ত আসিন এম. বুদ্ধরক্ষিত ভিক্ষু, ভদন্ত আর্যপ্রিয় মহাথের, অধ্যাপক অর্থদর্শী বড়–য়া। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন ও সংঘরাজ অভয়তিষ্য পালি মহাবিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন, বাঁশখালী এস.আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও বক্তারা ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার, শীলকূপ ইউ,পি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান এম. আকতার হোসেন, শিক্ষক অনাদি রঞ্জন বড়ুয়া, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী পংকজ বড়ুয়া, শিক্ষক দেবপ্রিয় বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, সোমেন বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা অশান্ত বিশ্বের শান্তিশৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ধর্ম অনুশীলন অনিষীকার্য্য। তাই ধর্ম চর্চা করলে সমাজে কোন ধরনের বিশৃংখলা থাকবেনা।

আজ ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ জলদী বিবেকারাম বিহারে, ২০ নভেম্বর শুক্রবার পুঁইছড়ি চন্দ্রজ্যোতি বৌদ্ধ বিহারে, ২১ নভেম্বর শনিবার শীলকূপ জ্ঞানোদয় বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগের দিন এই বিহারে রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী গোলাপী বেইন শিল্পগোষ্ঠী কর্তৃক বিনয় সম্মত চীবর বুনন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বাঁশখালীর ৬টি বৌদ্ধ মন্দিরে কঠিন চীবর দান শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পাদনের জন্য প্রশাসন জনপ্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা সহ সংগঠনের সকল সদস্যরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.