তফসিল ঘোষণা, পৌরসভায় ভোট ৩০ ডিসেম্বর

0

সিটিনিউজবিডি :: আগামী ৩০ ডিসেম্বর বুধবার, দেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ ২৩৪টি পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারই প্রথম স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ হবে। তবে কোনো দল কোনো পৌরসভায় একাধিক মেয়রপ্রার্থী দিলে সবগুলো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হবে বলে গণ্য হবে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংসাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

সিইসি বলেন, মনোনয়ন গ্রহণের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর আর যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর।

এ নির্বাচনে মোট ৩ হাজার ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৬ এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০জন। তারা মেয়র পদে ২৩৪, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৩৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯৫২ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করবেন মোট ৬১ হাজার ১৪৩ জন কর্মকর্তা।

সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের সংশোধনী অনুযায়ী, দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় এ নির্বাচন হচ্ছে। তবে দলীয় প্রতীকে শুধু মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪০টি। বাংলাদেশ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে বিধায় দলটি এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিতে পারছে না।

এদিকে, নির্বাচন পরিচালনা বিধি অনুসারে- মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম তফসিল ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। পৌরসভায় কোনো দল একাধিক প্রার্থী দিলে সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। স্বতন্ত্র থেকে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ১০০ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনের দলিল দাখিল করতে হবে। এরমধ্যে পাঁচজনের তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়নের ভিত্তিতে যাচাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা বিধি অনুসারে মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.