ইয়াবা উদ্ধার বিচ্ছিন্ন ঘটনা, দুই কর্মীর মুক্তির দাবি

0

চট্রগ্রাম অফিস :: চট্রগ্রাম নগরীর ধনিয়ালা পাড়ায় এস এ পরিবহনের শাখায় বুকিং দেয়া একটি আলমারি থেকে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধারকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ দাবি করেছে এস এ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তাদের দুই কর্মীকে ‘নিরীহ’ উল্লেখ করে তাদের মুক্তিও দাবি করেছে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন এস এ পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিনা আক্তার।

এর আগে ২৮ নভেম্বর রাতে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ওই শাখার ব্যবস্থাপক এস এম মোবিন এবং বুকিং সহকারি শামসুদ্দিন সুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা আক্তার বলেন, বুকিং দেয়ার সময় আলমিরাটি পাটের চটে মোড়ানো এবং দরজা বন্ধ অবস্থায় ছিল। দৃশ্যত সেখানে সন্দেহজনক কিছু পরিলক্ষিত হয়নি।

‘তদন্তের সময় র‌্যাব-৭ এর পরিচালক আমাদের জানিয়েছিলেন ওই শাখার কর্মীরা কোনভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি বরাবরই উল্লেখ করেছিলেন কর্মীরা নির্দোষ। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে ২৯ নভেম্বর র‌্যাব ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করে আমাদের নিরীহ নির্দোষ দু’জন কর্মীকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। যা কোনভাবেই কাম্য ছিলনা। ’ বলেন সেলিনা আক্তার।
সেলিনা আক্তার বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের ভূমিকা যথাযথ ছিলনা। এতে এস এ পরিবহনের মতো একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

এস এ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আব্দুস ছালাম বলেন, ঘটনাটা ছিল দুরভিসন্ধিমূলক। এমনভাবে ইয়াবাগুলো নেয়া হয়েছিল সেটা সোর্সের তথ্য ছাড়া আমাদের কর্মী দূরে থাক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও জানা সম্ভব নয়। র‌্যাব যদি তাদের সোর্সের দেয়া তথ্য আমাদের আগেভাগে জানাত তাহলে প্রকৃত আসামি ধরার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করতে পারতাম। কিন্তু সেটা না করায় র‌্যাব প্রকৃত আসামি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে আমাদের নিরীহ দুই কর্মীর মুক্তি দাবি করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.