আপনার হাসিই দিতে পারে পরবর্তী ডেটিংয়ের সম্ভাবনা!

0

লাইফস্টাইল ডেস্ক :: পছন্দের মানুষটির সঙ্গে প্রথম ডেটিংয়ে যাচ্ছেন। নিশ্চয়ই খুব চিন্তিত! প্রথমে কী বলবেন? কীভাবে বলবেন? কোথা থেকে শুরু করবেন? এ চিন্তা সবার মধ্যেই থাকে। তা ছেলে হোক বা মেয়ে। এ ছাড়া আপনি মানুষটিকে পছন্দ করেন, অথচ নিশ্চিত নন, পরবর্তী ডেটিংয়ে সে রাজি হবে কি-না!

প্রথম ডেটিংয়ে যদি আপনার মনের মানুষটিকে উৎফুল্ল রাখতে চান, তবে হাসুন। আর আপনার হাসি দিতে পারে পরবর্তী ডেটিংয়ের সম্ভাবনা।

কারণ চেহারা কিংবা কথাবার্তা নয় হাসি-খুশি রাখতে পারলেই মেয়েদের হৃদয় জয় করতে পারেন যে কোনো পুরুষ সঙ্গী। অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন এটা কেমন ধারার কথা। গতানুগতিক চিন্তাধারণা থেকেই এমন ভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা। আর তা জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়।

গবেষণা বলছে, যখন দুই অপরিচিত নারী-পুরুষ প্রথমবার দেখা করেন, পুরুষটি সঙ্গিনীকে যত বেশি মজার কথা বলে হাসাতে পারবেন, তত বেশি বাড়বে পরর্বতী ডেটিংয়ের সম্ভাবনা। দু’জনই প্রথম সাক্ষাতের দিন প্রাণ খুলে হাসতে পারেন তাহলে সম্পর্কের রোমান্টিক পরিণতির সম্ভাবনা প্রবল।

গবেষণার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির কমিউনিকেশন স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক জেফেরি হল বলেন, ‘রসবোধ আসলে এক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ক হিসেবে গণ্য হয়।’

তার মতে, যদি এমন কারোর সঙ্গে আপনার দেখা হয়, যার সঙ্গে আপনি দ্বিধাহীনভাবে হাসতে পারেন, তার অর্থ সম্ভবত এই সম্পর্কের ভবিষ্যত মজা, খুশি আর আনন্দে ভরপুর।

এই গবেষণায় তিন ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রথম সমীক্ষায় ৩৫ জন অংশগ্রহণকারী ১০০ অপরিচিত ফেসবুক প্রোফাইল পেজ দেখেছেন। হল দেখেছেন মানুষ অনেক বেশি পছন্দ করে বুদ্ধিমত্তার চেয়ে মিশুক ব্যক্তিকে।

৩০০ জন শিক্ষার্থীদের মেজাজ ও রসবোধের উপর দ্বিতীয় সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে তারা সম্পর্কের সঙ্গে হাস্যরস এবং বর্হিমুখীতার সূত্র দেখতে পেয়েছেন। সর্বশেষ ধাপে ৫১ জোড়া অপরিচিত কলেজ পড়ুয়ার ওপর সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। প্রতি জোড়াকে ১০ মিনিট করে আলাদা সময় কাটাতে দেওয়া হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, একটি ছেলে একটি মেয়েকে যত বেশি হাসি-খুশি রাখার চেষ্টা করেছে, মেয়েটি ছেলেটির প্রতি তত বেশি আকৃষ্ট হয়েছে।

আরও দেখা গেছে, যদি দুজনই একসঙ্গে হাসি-খুশি মুহূর্ত কাটায় তাহলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ছেলেরা সচেতনভাবেই এই কৌশলকে কাজে লাগায়। মেয়েরা মনে করে, হাসি-খুশি ছেলেরা অনেক বেশি সামাজিক হয়। অন্যের কথাও তারা বেশি শোনে ও গুরুত্ব দেয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.