চিটাগং ভাইকিংস জিতল

0

জিল্লুর রহমান রোমেল,চট্টগ্রাম :    ১০ উইকেটেই চলতি আসরের দ্বিতীয় জয় পেল তামিমের চিটাগং ভাইকিংস।   বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতলেও সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানান চট্টগ্রামের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামের জন্য এই ম্যাচটি নিজেদের ব্যবধান বাড়ানোর হলেও প্রথম দেখায় তাদের বিপক্ষে হারের কারণে সিলেটের জন্য এটি ছিল প্রতিশোধের। তবে উমর আকমল-আমির-দিলশানদের নিয়ে জয়ের প্রত্যাশায় ছিল চিটাগং।  বুধবার  চিটাগং ভাইকিংস সমর্থক হয়ে স্টেডিয়ামে ব্যানার প্যাস্টুন নিয়ে ছুটে যায় সিটিনিউজবিডি পরিবার দর্শকদের উৎসাহ যোগাতে ।

বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের আগের ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরে খাঁদের কিনারায় চলে যায় চিটাগং ভাইকিংস। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে বুধবার নিজেদের মাঠে সিলেট সুপারস্টারসের মুখোমুখি হয় দলটি। এই সিলেটের বিপক্ষেই প্রথম দেখায় এবারের আসরে নিজেদের প্রথম জয়টি পেয়েছিল চিটাগং।  অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থাকায় সিলেটের জন্যও ম্যাচটি ছিল খুব গুরুত্বপূর্ন।

 

আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয় সিলেট সুপারস্টারসের।  স্কোরবোর্ডে মাত্র ২২ রান তুলতেই টপঅর্ডারের ৪ জন ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি। দলীয় মাত্র ৪ রানের মাথায় রানআউটের খড়গে কাঁটা পড়েন সিলেটের ওপেনার দিলশান মুনাবেরা। দলীয় ২১ রানের সময় বিলওয়াল ভাট্টির বলে উমর আকমলের হাতে ধরা পড়েন সিলেটের আরেক ওপেনার নুরুল হাসান। ঠিক একই রানে তাসকিনের বলে চট্টগ্রামের তৃতীয় শিকার হিসেবে ব্যক্তিগত শূন্য রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সিলেট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এরপর দলীয় স্কোরবোর্ডে আর এক রান যোগ হতেই রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন রবি বোপারাও।

 

তবে ষষ্ঠ অবস্থানে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যস্ত সিলেটকে খাঁদের কিনারা থেকে প্রায় একাই টেনে তুলেন শহীদ আফ্রিদি। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য হোয়াইটওয়াশ হলেও বিপিএলে এসে নিজের জাত চেনান তিনি। দলকে ভালো একটি অবস্থানে পৌছে দিতে ৪১ বলে ৬২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন আফ্রিদি। এই ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কার মার মারেন বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান। নিজের হাফসেঞ্চুরির পরও বেশ দেখে শুনে ধৈর্য্য ধরেই খেলার চেষ্টা করেন আফ্রিদি। কিন্তু ইনিংসের ১৮ তম ওভারের প্রথম বলেই আফ্রিদিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান চট্টগ্রামের পাকিস্তানি তরুন পেসার  মোহাম্মদ আমির। আফ্রিদির আগে ১৭ রান করে আউট হয়েছেন সোহেল তানভীর। শেষপর্যণ্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপারস্টারস।

 

বল হাতে চিটাগংয়ের হয়ে ২টি উইকেট পান শফিউল ইসলাম। তাছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির, আসিফ হাসান, তাসকিন আহমেদ ও বিলওয়াল ভাট্টি।

 

জয়ের জন্য ১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্তসূচনা করেন চিটাগংয়ের তামিম ইকবাল ও তিলকারত্বে দিলশান। তাদের এই ঝড়ো ব্যাটিং চলে ইনিংসের শেষপর্যণ্ত । দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন চিটাগংয়ের এই দুটি ওপেনার। তবে সবচেয়ে নাটকীয় ব্যাপার হচ্ছে দুজনেই ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই ইনিংস খেলার পথে ৫১ বল মোকাবেলা ৮টি চার মারেন তামিম। অন্যদিকে ঠিক ৬৭ রানের ইনিংস খেলতে ৪৬ বলের খরচায় ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার খেলেন দিলশান। তাদের এই দারুণ বোঝাপড়ায় ২৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটেই চলতি আসরের দ্বিতীয় জয় পায় তামিমের চিটাগং ভাইকিংস।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.