ঢাকার কাছে হেরে বিপিএল থেকে চিটাগংয়ের বিদায়

0

স্পোর্টস ডেস্ক :: টার্গেট ১২২। ছোটো টার্গেট। কিন্তু সেটা তাড়া করতে গিয়েই মাত্র ৭৬ রানে শেষ চিটাগাং ভাইকিংস! ঢাকা ডিনামাইটসের বোলিংয়ে বিপিএলের ইতিহাসের পঞ্চম সর্বনিম্ন রানের স্কোর তাদের। তার চেয়ে বড় কথা টুর্নামেন্টে টিকে থাকার সামান্য আশাটা বেঁচে ছিল এই ম্যাচের আগে। সেই আশা ৪৫ রানের হারে শেষ হয়ে গেল তাদের। ঢাকা আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট তুলেছিল ১২১ রান। ১৬.৫ ওভারে শেষ চিটাগাং।

৮ ম্যাচে ঢাকার পয়েন্ট ৮। ৯ ম্যাচে চিটাগাংয়ের অর্জন ৪ পয়েন্ট। ৮ ম্যাচে সিলেট সুপার স্টার্স ৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বলে ‘ঢাকা সেমিফাইনালে’ এই কথাটা বলা যাচ্ছে না!

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চিটাগাং ২০ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৮) ও তিলকারত্নে দিলশানকে (২)। ইয়াসির আলীও (২) রান আউট হলে চাপে পড়ে চিটাগাং। সেই চাপ আরো বাড়ে ৩৯ রানের সময় চতুর্থ উইকেটের পতন হলে। এনামুল হকের (৯) ফিরতি ক্যাচটা গোলকিপারের মতো ঝাপিয়ে পড়ে দারুণ দক্ষতায় নিয়েছেন ইয়াসির শাহ। এর ১০ রান পরই বড় উইকেট হারায় চিটাগাং। মোশাররফ হোসেনের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন উমর আকমল (১৪)।

৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানো চিটাগাংকে শেষের দিকে ঠেলে দেন বাঁ হাতি স্পিনার মোশাররফ। ১৪তম ওভার ছিল তার নিজের তৃতীয় ওভার। এই ওভারে তিনটি উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে উইকেট নেন মোশাররফ। ইলিয়াস সানির (১০) পর তার শিকার হন মোহাম্মদ আমির (০)। মোশাররফকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি শফিউল ইসলাম। কিন্তু ওই ওভারেরই ষষ্ঠ বলে শফিউল (০) ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। মুস্তাফিজুর রহমান বিলাওয়াল ভাট্টিকে (১১) তুলে নিলে খেলা শেষ হয়। আহত বলে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি জিয়াউর রহমান। ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মোশাররফ। ২ উইকেট মুস্তাফিজের।

এর আগে সৈকত আলীর সাথে ইয়াসির শাহকে ব্যাটিং ওপেন করতে পাঠিয়ে চমকে দেয় ঢাকা। কিন্তু এই চমক দেখিয়ে তাদের তেমন লাভ হয়নি। ১০ রান করেই আসিফ হাসানের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ইয়াসির। ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। অন্য ওপেনার সৈকত (৩) শফিউল ইসলামের শিকার হয়েছেন।

এর পর পড়েছে বড় দুই উইকেট। ঢাকার পক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। তাকে দেখে পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে মোহাম্মদ আমিরকে ফিরেয়ে আনেন চিটাগাং অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর আমিরের অফ স্টাম্পের বাইরের বলকে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে এনামুলকে ক্যাচ দিয়েছেন হাফিজ (২)। প্রতিশোধ নিয়েছেন আমির। কারণ, হাফিজ বলেছিলেন স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য কলঙ্কিত আমির আছেন বলেই চিটাগাংয়ের প্রস্তাবে ওই দলে খেলতে রাজি হননি তিনি। হাফিজকে আউট করে আমিরের উল্লাসটা তাই দেখার মতো ছিল। নাসির হোসেনও (১০) ক্যাচ দিয়ে ফেরায় ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেই পড়ে ঢাকা।

সেই বিপর্যয় রুখেছেন অধিনায়ক সাঙ্গাকারা ও তরুণ মোসাদ্দেক। পঞ্চম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু টি-টোয়েন্টির ঝড় ছিল না তাদের ব্যাটিংয়ে। সেট হয়েও ব্যাট চালিয়ে খেলতে পারেননি তারা। অবশ্য দল মান বাঁচানো একটি স্কোরের দিকে এগিয়েছে তাদের ব্যাটিংয়েই। শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারে শফিউলের পর পর দুই বলে বিদায় নেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দুজনই ক্যাচ দেন উমর আকমলকে। ৩৬ বলে ৩৮ রান আসে সাঙ্গাকারার ব্যাট থেকে। মোসাদ্দেক ২৯ বলে করেন ২৪ রান। এর পর ১০ বলে ১৯ রান করেন ম্যালকম ওয়ালার। আমির ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। শফিউলও ৪ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। চিটাগাংয়ের বোলাররা ম্যাচ জেতার অর্ধেক কাজ করে রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারেননি। শেষ হাসি তাই ঢাকার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.